ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

শুল্কমুক্ত সুবিধায় চীনে রপ্তানীর বড় সুযোগ (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০১:২৯ পিএম, ২৪ আগস্ট ২০২২ বুধবার

চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বিশাল। তবে দেশটি, বাংলাদেশের ৯৮ ভাগ পণ্যে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে তা কাজে লাগানো গেলে ঘাটতি অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। আর চীনের মোট আমদানির মাত্র ১ শতাংশ সরবরাহ করতে পারলে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি-আয় ছাড়াতে পারে ২০ বিলিয়ন ডলার। 

১৪১ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন। বিশাল বাজার। দেশটি রপ্তানিতে শীর্ষে, আমদানিতে দ্বিতীয়।  

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক বাজার থেকে চীন প্রায় ২ হাজার ৬৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ৬৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলারের পণ্য। 

চীন সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। এরপরই জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, তাইওয়ান ও জার্মানি। চীনের ৩৮ শতাংশ কাঁচামাল, মেশিনারিজ ও প্রযুক্তিপণ্যের যোগান দেয় এসব দেশ। 

এছাড়া আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি থাকায় ভিয়েতনাম ৮৩ বিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ড ৫৭ বিলিয়ন এবং ইন্দোনেশিয়া বছরে ৫৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করছে দেশটিতে। 

বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন মৃধা বলেন, “আমরা যদি নিজেদেরকে আপগ্রেট করতে পারি তাহলে এখন যা রপ্তানী করছি সারা পৃথিবীতে তারচেয়ে বেশি রপ্তানী চীনে করা সম্ভব।” 

চীনের সাথে বাংলাদেশের এফটিএ নেই। তবে প্রায় ৯৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে দেশটি।

এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, “চায়না যে প্রোডাক্ট একসময় তৈরি করতো শীফট হওয়াতে কিছু প্রোডাক্ট গিয়েছে ভিয়েতনামে, কিছু গিয়েছে অন্য লোকেশনে। সেই দিক থেকে ওই যায় বাংলাদেশে সুযোগ রয়েছে জয়েন্টবেঞ্জারের মাধমে। আমাদের এস্টেকহোল্ডার যারা আছেন তাদেরকে চায়নিজ এস্টেকহোল্ডারদের দিকে ফোকাস করতে হবে।” 

চীন যেসব পণ্য ও কাঁচামাল আমদানি করে তার বেশিরভাগই বাংলাদেশে হয় না। তবে দেশটি যে ৪২ বিলিয়ন ডলারের ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য আমদানি করে, তাতে বাংলাদেশ অংশীদার হতে পারে। এছাড়া লেদার, সী ফুড, সবজি, মৌসুমী ফল ও পোশাক শিল্পের বেশ কিছু পণ্য রপ্তানীর বড় সুযোগ রয়েছে চীনে। 

আল মামুন মৃধা বলেন, “দুইটা দিক থেকে দেখতে হবে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে পণ্য কি আছে। বিনিয়োগ পরিস্থিতি উন্নয়ন করে চীনা বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে ডেকে ওই ধরনের পণ্যগুলো তৈরি করে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে যদি চীনে পাঠাতে পারি তাহলে উভয় দেশই লাভবান হবে।”

চীন যেসব পণ্য আমদানি করে সেসব পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের বাড়তি মনোযোগ দেয়া জরুরি, বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএইচ