ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

পড়ার সময় গান শোনা ভালো: গবেষণা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:০৮ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২২ বৃহস্পতিবার

অনেকেই মনে করেন, পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে হলে অবশ্যই পড়াশোনা করতে হবে নিবিড়ভাবে। এ সময় কোনোভাবেই পড়াশোনার মাঝে বিনোদনের কোনওকিছু আনা যাবে না। যদি এ ধারণার সঙ্গে আপনি একমত হন, তবে এখনই সে ধারণা থেকে আপনার বেরিয়ে আসা উচিত। কেননা, আমেরিকার এক গবেষণা বলছে, এমন ধারণা সম্পূর্ণই ভুল।

সম্প্রতি গবেষণায় দেখা গেছে, পড়াশোনায় বই, নোটবুক, কলম, পেনসিলের মতো গান বা মিউজিকও একজন শিক্ষার্থীর ভালো ফলে অনেক সাহায্য করে। বরং পরীক্ষায় ভালো ফল পেতে অনেকটা বাধা হয়ে দাঁড়ায় একঘেয়েমি পড়াশোনা।

ওয়ান পোল মার্কেট গবেষণা কোম্পানি আমেরিকান দুই হাজার ছাত্রছাত্রীর মধ্যে একটি গবেষণা করে। গবেষণায় উঠে এসেছে, পড়াশোনার সঙ্গে যাদের গান শোনার অভ্যাস আছে, তাদের ষাট ভাগের ক্ষেত্রেই পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট হয়েছে।

শুধু যে পড়াশোনাতেই সংগীত বা গান সাহায্য করে তাই নয়, কাজ করার সময়ও গান শোনার অভ্যাস আপনার কাজের গতি বাড়িয়ে তোলে অনেকটাই। একঘেয়েমি কাটিয়ে নিজের কাজের বা পড়ার ছন্দে গতি বাড়াতে এই গান শোনার অভ্যাস ভীষণ কার্যকরী।

লস অ্যাঞ্জেলেসের গবেষণায় অংশ নেয়া ৮০ ভাগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কাজ বা পড়ার সময় গান শোনার অভ্যাস টনিকের মতো কাজ করে।

তবে বিশেষজ্ঞরা গবেষণায় আরও খুঁজে দেখতে চেয়েছেন, গান শোনার অভ্যাস কার্যকরী হলেও এ ক্ষেত্রে কোন গান বেশি কার্যকরী হয়ে ওঠে। গবেষণায় তারা লক্ষ করেন, এ সময় বেশি উপকার পাওয়া যায় ক্লাসিক গান শোনার অভ্যাস করলে।

আর সবচেয়ে কম কার্যকরী হয় পপ সংগীত শোনার অভ্যাস থাকলে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় সংগীত শোনার অভ্যাস গড়ে তোলার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন ডাক্তার আগভেন্ট।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার শিক্ষাজীবনে পড়ার সময় গান শোনার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। এই অভ্যাস শুধু পরীক্ষায় ভালো ফলের ক্ষেত্রেই কার্যকরী হয় না, এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার প্রক্রিয়ায়ও উন্নতি ঘটায়।’

সূত্র: ফক্স টিভি
এমএম/