জলবায়ু পরিবর্তনে শুকিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের জলাধার
আশরাফ শুভ
প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার
বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে নদ-নদী ও জলাশয়। চরম হুমকিতে জনজীবন ও জীববৈচিত্র্য। পানির স্তর বেশি নেমে যাওয়ায় নদীর তলদেশ থেকে বেরিয়ে আসছে প্রাচীন নানা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনও।
মানবসৃষ্ট নানা কারণ, তীব্র খরা আর তাপদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের নদ-নদী।
ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে জনজীবনে। পানির স্তর নেমে ইতোমধ্যে সংকুচিত হয়েছে নদীগুলোর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ। কার্যত বন্ধ হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক নৌপথ। এতে অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়ার আশংকা করা হচ্ছে।
চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইয়াংজি নদীতে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় ভেসে উঠেছে পাথুরে দ্বীপ। সেখানে পাওয়া গেছে ৬শ বছর আগের বুদ্ধ মূর্তি। যুক্তরাষ্ট্রে খরায় শুকিয়ে যাচ্ছে কলোরাডো নদী। দেশটির সাতটি অঙ্গরাজ্য ও মেক্সিকোর প্রায় চার কোটি মানুষ এ নদীর ওপর নির্ভরশীল।
পাঁচ শ’ বছরের মধ্যে সবচে ভয়াবহ খরার কবলে ইউরোপ। প্রচন্ড তাপদাহ আর দাবানলে সেখানকার নদীগুলো মরুতে পরিণত হচ্ছে। সার্বিয়ার দানিয়ুব নদীর পানি শুকিয়ে বেরিয়ে এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ডুবে যাওয়া বেশ কয়েকটি জাহাজ। কয়েকটি এখনো বিস্ফোরক ভর্তি।
ইতালির রোমে তিবের নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় দেখা মিলেছে সম্রাট নিরোর আমলে তৈরি একটি সেতুর ধ্বংসাবশেষ। এছাড়া রিভার পো নদী থেকে মিলেছে ১৯৪৩ সালে ডুবে যাওয়া জার্মান রণতরী জিবেলো। গেল জুলাইয়ে এই নদীতে পাওয়া গেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি অবিস্ফোরিত বোমা।
শুকিয়ে গেছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসের মাঝে প্রবাহিত রাইন ও ফ্রান্সের শেষ নদী লয়ার। স্পেনের একটি হ্রদের নিচে মিলেছে প্রাগৈতিহাসিক পাথরের চক্রাকার কাঠামো। যা স্পেনিশ স্টোনহ্যাঞ্জ নামে পরিচিত।
এছাড়া চেক রিপাবলিক ও জার্মানির এলবেসহ বেশ কিছু নদীতে দৃশ্যমান হয়েছে হাঙ্গার স্টোন। যেটাকে অশুভ সংকেত বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এসবি/