বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি শেখ পরশের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৮ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৫:৫৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২২ শুক্রবার
জাতীয় শোক দিবস-২০২২ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে আলোচনা সভা ও অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, কোন এক অদৃশ্য কারণে এই আগস্ট মাসেই বার বার রক্তের কালিমা লেপেছে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও শত্রুরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কালজয়ী মহানায়কদের অনেকেরই প্রাণ দিতে হয়েছে কিংবা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিশ্বে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের অন্যতম ভারতের মহাত্মা গান্ধী, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী, চিলির সালভাদর আলেন্দে, যুক্তরাষ্ট্রের আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিংও জন এফ কেনেডি, মিয়ানমারের জেনারেল অং সান ও মিশরের আনোয়ার সাদাতসহ আরও অনেকে। কিন্তু এই সকল হত্যাকাণ্ডের মধ্যে একাধিক করণে যেটি সবচেয়ে বর্বরোচিত সেটি হচ্ছে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ড।
এটি শুধু একটা রাজনৈতিক ব্যক্তির হত্যাকাণ্ড ছিল না, এটি ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে তার পরাধীনতায় ফিরিয়ে নেওয়া এবং নব্য উদ্ভাসিত ও সদ্য প্রকাশিত জাতিসত্তার পরিচয় মুছে ফেলার জন্যই ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছিল। তাই এটি নিঃসন্দেহে বলা যায় এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বুক থেকে বাঙালি জাতিগোষ্ঠী ও জাতিসত্তার সমূলে ধ্বংস করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছিল। এই ধারণা পরিস্কারভাবে বোঝা যায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর এই হত্যার মাস্টারমাইন্ড ও পরবর্তী সুবিধাভোগীদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। পরাস্ত পাকিস্তানী সামরিক জান্তা ও তাদের এই দেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্রের নৃশংস শিকার হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার, তথা মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শ ও চেতনা।
খাদেলা জিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, খুলিদের সীমাহীন বর্বরতার উদাহরণ চারিদিকে পাওয়া যায়। খালেদা জিয়া ১৫ই আগস্ট জন্মদিন পালন করে। যার মধ্যে বিন্দুমাত্র মনুষ্যত্ববোধ আছে, অথবা চক্ষুলজ্জা আছে সে কি পারে, বেহায়ার মত ১৫ই আগস্ট জন্মদিন করতে? তিনি নাকি দেশনেত্রী? একজন দেশনেত্রী কিভাবে পারে একটা বিশাল জনগোষ্ঠীকে অবজ্ঞা করতে, অথবা একটা পরিবারকে এইভাবে কষ্ট দিতে? যাই হোক আওয়ামী লীগতো এদেশের বৃহত্তম একটা রাজনৈতিক দল, নাকি? একটা অনস্বীকার্য। আমি খালেদা জিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে প্রশ্ন করতে চাই, কারণ আমার বাবা-মা সেদিন নিহত হয়েছিল এবং এদেশের একটা গুরুত্বপূর্ণ জনগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে এবং নেতা মানে। তাহলে আপনি কিভাবে পারেন এই দেশের একটা বিরাট অংশকে অবহেলা এবং উপেক্ষা করতে? এখানে আমি তাঁর “দেশনেত্রী” উপাধিকে চ্যালেঞ্জ করছি। যে খালেদা জিয়া কখনও দেশনেত্রী তো দূরের কথা, “নেত্রী” হওয়ারই যোগ্যতা রাখে না।
তিনি বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, এই আগস্ট মাসেই বার বার রক্তের কালিমা লেপেছে এই খালেদা জিয়া তার শাসনামলে। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা বাংলাদেশে বিএনপির মদদে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন (জেএমবি)। দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪টিসহ সর্বমোট ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটান হয়। খেয়াল করে দেখবেন, তারা প্রেসক্লাব বেছে নিয়েছিল, কারণ তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না; কারণ তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা গণমাধ্যমের মুখ বন্ধ করতে চায়। তারা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস তো করেই না, বরংঞ্চ গণমাধ্যমকে ভয় পায়। কারণ গণমাধ্যমের সাথে গণমানুষের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। তাই জেএমবির সৃষ্টি। এই ধরণের হামলার ইতিহাস পৃথিবীতে নাই যে, একসঙ্গে একটা দেশের এতগুলো জায়গাতে সমন্বিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটে। এতো পরিকল্পিত এবং সমন্বিত হামলার ইতিহাসে পৃথিবীতে নাই।”
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এইরকম সমন্বয় সম্ভব না। বিএনপি এই সন্ত্রাসের সুবিধা নিতে চেয়েছিল। তারা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের মদদ দিয়েছে। আকস্মিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় ছিল ঐ দিন। কিভাবে? আমাদের এও মনে আছে, যে বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য আপনারা কোর্টেও বোমা মেরেছিলেন একযোগে। বিচারক সোহেলকে আপনারা বোমা মেরে হত্যা করেছিলেন। কেন বিচারালয়ে সেদিন আপনারা বোমাবাজি করেছিলেন আমরা বুঝি। কারণ জনগণ যেন আদালতে বিচার চেতে যেতে ভয় পায়। তারপরেও আপনারা নিজেদেরকে রাজনৈতিক দল মনে করেন? তাই এটা বার বার প্রমাণিত হয়েছে যে, আপনারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন। গণমানুষের রাজনীতি করেন না।
আপনারা বর্বর রাজনীতি করেন, বাংলা ভাই সৃষ্টির রাজনীতি করেন, বোমা-বাজির রাজনীতি করেন। বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এদেশের মানুষের উপর যেরকম অত্যাচার করেছেন, আওয়ামী লীগের ভোটারদেরকে চিহ্নিত করে আপনারা ঘড়ে ঢুকে পাকিস্তানী কায়দায় হত্যা করেছেন। যাতে এই সকল নির্যাতিত জনগণ বিচার না চেতে পারে সেই জন্যই আপনারা আবার বিচারালয়ে বোমাবাজি করেছেন বিচার প্রাপ্য জনগণকে ভয় দেখানোর জন্য। ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণকে শাসন করতে চান আপনারা? আপনারা সেদিন দুইজন জজকে হত্যা করে সারা বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা এবং আইনের শাসন স্তব্ধ করে দিয়েছিলেন। আপনাদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিচার যেন এদেশের মানুষ না চেতে পারে, সেই জন্যই আপনারা সুপরিকল্পিতভাবে এই নৈরাজ্য এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন। তাই আমি বলি বিএনপি গণমানুষের রাজনৈতিক দল না। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, যারা পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা এবং একটা এলিট শ্রেণীর সার্থ রক্ষা করে নিজেদের টিকিয়ে রাখার জন্য। আমি আজকের এই সভার মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতি এদেশে নিষিদ্ধ করার দাবি রাখতে চাই।
ঠিক যেভাবে জামাত-শিবিরের দলীয় নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন বাতিল করেছে; সেভাবে বিএনপির দলীয় নিবন্ধন বাতিল করে তাদের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি সৃষ্টি হয়েছিল এই দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রতে পরিণত করার জন্য। এই জন্যই বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা হয়তো বা বিভিন্ন পন্থায় ক্ষমতা দখল করেছে একাধিকবার, কিন্তু গণমানুষের দল তারা হয়ে উঠতে পারে নাই। কারণ গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তারা অনুপস্থিত, বরং মানুষের অধিকার হনন করতে পার পারদর্শী। এখন তারা বলছে মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য তারা মাঠে নেমেছে, এটা অসত্য কথা। তারা তাদের নিজেদের দলীয় স্বার্থের জন্য এদেশের মানুষকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে, যাতে করে তারা এই দেশেকে আবারো একটা জঙ্গি এবং দুর্নীতিপরায়ণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে পারে। কিন্তু এদেশের জনগণ তাদের সাথে নাই।
জনগণ থাকে সেই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে যারা দেশকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে, দেশকে গড়ার স্বপ্ন দেখায়। আমাদের নেত্রী এই দেশকে গড়ার স্বপ্ন বুকে ধারণ করে, তাই আওয়ামী লীগের সাথে এই দেশের মানুষ আছে। ২০০১ সালের পর শত অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যার রাজনীতি করেও আপনারা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের তাদের মতাদর্শ থেকে টলাতে পারেন নাই। এই সংগঠনের ভিত্তি অনেক শক্ত। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা একনাগাড়ে তিনবার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করছেন। শেখ হাসিনার কখনও ভোট কারচুপি করার দরকার পরে না। এদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে এমনিতেই ভোট দেয়। আপনারা, বিএনপি যখন ৯১তে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ভোট কিন্তু আওয়ামী লীগ বেশি পেয়েছিল, মনে আছে? আওয়ামী লীগ সভানেত্রী মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়ে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার যোগ্যতা আছে। এই যোগ্যতা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বঙ্গবন্ধুর কন্যারই আছে।
তিনি উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ সৃষ্টি হয়েছিল জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এই যে আজকে আমরা কিছু ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আমাদের অসহায় ও দুস্থ ভাই-বোনদের মাঝে এসেছি। এই উপহারগুলো আপনাদের অধিকার। এগুলোকে দান মনে করবেন না। আজকে সারা বিশ্বে বিশ্বমন্দা ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দামের উর্ধ্বগতি হওয়াতে আপনাদের যে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে সেটা আমরা উপলব্ধি করি। তাই আমরা এই শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি হিসাবে এই আয়োজন করেছি। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেশন কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকায় আপনাদের চাল দেবার ব্যবস্থা নিচ্ছে। খুব শীঘ্রই ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী সৃদৃঢ় নেতৃত্বে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব ইনশাল্লাহ। আপনারা শুধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখবেন এবং দোয়া করবেন আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দীর্ঘায়ু দান করে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ যখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। কারা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল? আজকে আমার মা-বোনদের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই-যারা ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করতে চায় সেই প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান ছিলেন ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান রহমান এদেশের মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিলেন। রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের হাতে তুলে দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হাজার হাজার সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যা করেছে এই খুনি জিয়া। ক্যু, গুম-খুনসহ এমন কোন নারকীয় কাজ নেই যা জিয়াউর রহমান করেন নাই।
তিনি আরও বলেন, খুনির সন্তান খুনি হয় তার প্রমাণ তারেক জিয়া। জিয়াউর রহমানের মতই তারেক জিয়া খুনি। জিয়াউর রহমান যেমন ১৫ই আগস্টের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ঠিক তেমনি তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাথে সরাসরি জড়িত এবং এই হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড। অচিরেই পলাতক খুনি তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার দাবি জানাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান পবন, মো. এনামুল হক খান, তাজউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডাঃ হেলাল উদ্দিন, মো. জহির উদ্দিন খসরু, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আন্তর্জাতিক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল হাই, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-অর্থ সম্পাদক সরিফুল ইসলাম দুর্জয়, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিয়ষক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//