ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

চা শ্রমিকদের দৃষ্টি গণভবনে

বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার থেকে

প্রকাশিত : ১২:২৮ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে টানা ১৮ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন দেশের ২৪১টি চা বাগানের শ্রমিকরা। এরই মধ্যে ঘোষণা আসে শনিবার গণভবনে চা শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে চা সংসদের সাথে বসছেন প্রধানমন্ত্রী। আর এ সংবাদ শোনার পর মৌলভীবাজাররের ৯২টি চা বাগানে শুক্রবার কোন আন্দোলন করেননি চা শ্রমিকরা।

এখন চা শ্রমিকদের দৃষ্টি গণভবনের দিকে। তাদের ধারণা, মালিকপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রী তাদের জন্য একটা সুফল এনে দিবেন।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল কালিঘাট চা বাগানের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য অনিল তন্তবাই বলেন, “আমরা এখন প্রধানমন্ত্রীর দিকেই তাকিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দু:খ-দুর্দশার কথা জানেন। আমরা ২শ’ বছর ধরে যে জায়গায় বসবাস করছি সে জায়গার ভূমি অধিকার আজও আমরা পাইনি। সব বাগানে এখনও স্কুল হয়নি।”

শ্রীমঙ্গল আমরইল চা বাগানের চা শ্রমিক জনিস বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আমাদের শেষ ভরসার স্থল। তাঁর দিকেই এখন আমরা তাকিয়ে আছি। শনিবারের মিটিংয়ে নিরাশ করবেন না প্রধানমন্ত্রী।”

শ্রীমঙ্গল কালাপুর ইউনিয়নের ফুলছড়ি চা বাগানের বাগান পঞ্চায়েত সভাপতি লক্ষন বাউরি জানান, “আমরা আন্দোলন করছি পেটের দায়ে। যে মজুরি দেওয়া হয় তা থেকে কারেন্ট বিল, রেশন, ভবিষত তহবিল ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের চাঁদা সব কিছু কেটে নগদ হাজিরা দাঁড়ায় ১০০ টাকারও কম। এই টাকা দিয়েই দৈনন্দিন সকল চাহিদা পুরণ করতে হয়। ‘তেল আনতে নুন পুরায়’ অবস্থা আমাদের।”

তিনি আরও বলেন, “২ টাকা কেজিতে আটা দেওয়া হয় যা সকালে চা-রুটিতেই চলে যায়। দুপুরে ও রাতে ৪-৫ জনের একটি পরিবারে দুই কেজি চাল লাগে। চালের দামেই দৈনিক হাজিরার টাকা চলে যায়। বাকীটা কিভাবে সামাল দেয় চা শ্রমিকরা সে খবর কেউ রাখে না।” 

“আশাবাদী করি আমাদের নেত্রী বাস্তবতা নিরিখে আমাদের মজুরিসহ অনান্য সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিবেন।”

এ ব্যাপারে চা শ্রমিক ছাত্র-যুব অংশের নেতৃত্ব দেওয়া মোহন রবি দাশ বলেন, “আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু শনিবার এ বিষয়ে বসবেন তা দেখে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

এএইচ