প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে সদ্য বিবাহিত তরুণীর আত্মহত্যা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২২ শনিবার
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মালয়েশিয়া প্রবাসী এক যুবকের সাথে বিয়ে হয় পান্না আক্তারের। শুক্রবার রাতের কোন এক সময় সেই প্রবাসী স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন পান্না।
শনিবার (২৭ আগস্ট) সকালে পুলিশ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেনায়েতপুর গ্রামের একটি বহুতল ভবনের ফ্লাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ওই ফ্লাটের গৃহকর্মী ছিলেন সে।
পান্না রায়পুর উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের পূর্ব চরপাতা গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ে। মোবাইল ফোনে বিয়ে করা তার স্বামীর ইসরাফিল হোসেনের বাড়ি যশোর জেলায়।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ দেনায়েতপুর গ্রামের মিয়া রাজা বেপারী বাড়ির আমিন ম্যানশন ৫ তলা ভবনের ৩য় তলার ভাড়াটিয়া মোঃ নুরুল আমিনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন পান্না আক্তার। তার সাথে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় যশোর জেলার বাসিন্দা মালয়েশিয়া প্রবাসী ইসরাফিল হোসেনের। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে তাদের বিয়েও হয়।
গত ২৩ আগস্ট যশোর থেকে ইসরাফিলের বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের বাড়িতে পান্নাকে দেখতে আসেন। পরে তারা আবার যশোরে ফিরে যান।
এর তিনদিন পর শুক্রবার রাতে পান্না গৃহকর্তার বাসার একটি কক্ষের দরজা বন্ধ করে তার স্বামী ইসরাফিলের সাথে মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে কথা বলা বলেন। এক পর্যায়ে তাকে ভিডিও কলে রেখে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেন পান্না।
সকালে পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রবাসী ছেলের সাথে তার সম্পর্ক ছিল। মনোমালিন্যের কারণে সে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পারি।
পান্না আক্তারের ভাই রিপন বলেন, “আমার বোনের সাথে মোবাইল ফোনে প্রবাসী ইসরাফিলের সাথে বিয়ে হয়। ইসরাফিলের বাবা আমার বোনকে দেখতে আসেন। বাড়িতে ফিরে গিয়ে হয়তো নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এর কারণে সে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে।”
এএইচ