ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বিয়ে করতে এসে লাঞ্ছিত সেই খাদ্য কর্মকর্তার অবশেষে বিয়ে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ০৯:২০ এএম, ২৮ আগস্ট ২০২২ রবিবার

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিয়ে করতে এসে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সেই আলোচিত ঠাকুরগাঁও জেলার রাণী শংকৈল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইসকে আব্দুল্লাহ (৫৪) অবশেষে বিয়ে করেছেন। লিপি খাতুন নামের সেই তরুণীকেই বিয়ে করেছেন তিনি।

শনিবার ওই খাদ্য কর্মকর্তার বড় ভাই ওবায়দুর রহমান বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ১৬ তারিখ ভাই ইশকে আব্দুল্লাহ রৌমারী উপজেলার লিপি খাতুনকে কুড়িগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে তারা একসঙ্গে বসবাস করছেন।

জানা গেছে, চলতি মাসের ১৬ আগস্ট কুড়িগ্রাম নোটারি পাবলিক কার্যালয়ে বিয়ে বন্ধনে আবব্ধ হয়েছেন তারা। এতে ওই কর্মকর্তার ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ইশ‌কে আব্দুল্লাহ। তিনি দিনাজপুর পৌরশহরের মুদি পাড়া গ্রামে মৃত হাফিজ উদ্দিন ছেলে। 

এদিকে, ওই কর্মকর্তার স্ত্রী মোছাঃ লিপি খাতুন কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চৎলাকান্দা গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে উল্লেখ করে বিবাহ বন্ধ‌নে আবদ্ধ হয়েছেন তারা।

ইসকে আব্দুলাহ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণী শংকৈল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

খাদ্য কর্মকর্তা বলেন, “প্রথম বউয়ের অনুমতি নিয়ে বিয়ে করেছি।”

উল্লেখ্য, এই খাদ্য কর্মকর্তা প্রেমের টানে গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে তিন সদস্যের বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হন রৌমারী উপজেলার লিপি খাতুনের বাড়িতে। সেদিনেই ছেলের অভিভাবক না থাকায় বিয়ে সম্পন্ন হয়নি।

তার সঙ্গে আসা কুড়িগ্রাম সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব হাসান ও নাগেশ্বরী উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাজেদুর রহমান বিয়েতে সাক্ষী হতে রাজি হননি। এমনকি ওই খাদ্য কর্মকর্তার কোনও স্বজনও বিয়েতে হাজির হননি। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর বিয়ের বয়স না হওয়ায় তর্ক-বিতর্কের সৃষ্টি হয়। 

এসময় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই খাদ্য কর্মকর্তাকে গণধোলাই দেয়। পরে জনতার রোষানল থেকে উদ্ধার করে তাকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন রৌমারী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু।

অবশেষে বিয়ে না করেই ফিরে যান খাদ্য কর্মকর্তা। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত বলে জানা গেছে। তাদের ঘরে দুই কন্যা সন্তান ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এক মেয়ের বিয়েও দেওয়া হয়েছে। আরেক মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত এবং ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে।

এএইচ