শিশুপুত্রকে হত্যা করে মাটিতে পুঁতে রাখেন সৎ-মা!
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২২ সোমবার
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আহম্মদ শাহ নামে চার বছরের এক শিশুকে হত্যা করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ শিশুটির অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় তার সৎ মা কোহিনুর বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উপজেলার দরবেশপুর গ্রামের উত্তর দরবেশপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির একটি বসত ঘরের গর্ত থেকে ওই শিশুর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। ঘরটি আটককৃত কোহিনুর বেগমের বাবার ঘর।
নিহত শিশু আহম্মদ শাহ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের দক্ষিণ রায়চর জিয়া নগর সৈয়াল বাড়ির শাহ মিরন হাবিবুল্লাহর ছেলে। অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম শাহ মিরনের দ্বিতীয় স্ত্রী ও রামগঞ্জের দরবেশপুর গ্রামের মোবরক হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৪/৫ দিন আগে শিশুটি নিখোঁজ হয়। পরে পানিতে পড়ে ডুবে গেছে সন্দেহে এলাকার বিভিন্ন পুকুরে ডুবুরী দিয়ে তাকে খোঁজা হয়। না পেয়ে তার বাবা রোববার (২৮ আগস্ট) হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে শিশুটি তার সৎ মা কোহিনুর বেগমের সঙ্গেই বাড়ি থেকে বের হয়। পরবর্তীতে তার সৎ মা একাই বাড়িতে ফিরে এলেও শিশুটিকে নিয়ে আসেননি।
পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে কোহিনুর বেগম তার সৎ ছেলেকে হত্যা এবং মৃতদেহ তার বাপের বাড়ির বসত ঘরে মাটি চাপা দিয়ে গুম করার কথা স্বীকার করে। সোমবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ রামগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় মাটির নীচ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, গত ২৬ আগস্ট রাতে সৎ মা কোহিনুর বেগম শিশুটিকে হত্যা করে মৃতদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে। খবর পেয়ে আমরা তার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করি এবং তার সৎ মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনএস//