বাগদাদে শিয়া নেতার পদত্যাগ, সহিংসতায় নিহত বেড়ে ২০
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১১:৪৮ এএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আল-সদর সোমবারই ঘোষণা করেন, তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিচ্ছেন। তার দলও তুলে দিচ্ছেন। এই ঘোষণার পরই তার সমর্থকরা সরকারি ভবনে ঢুকে পড়ে। বাগদাদ-জুড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতেই ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আল-সদর একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ''আমি আর রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যে থাকতে চাই না। তাই আমি রাজনীতি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি আমি মারা যাই বা আমাকে হত্যা করা হয়, তাহলে আমার জন্য প্রার্থনা করবেন।''
আল-সদর দীর্ঘদিন ধরে ইরাকের রাজনীতিতে বড় নাম। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কারে রাজি না হওয়ার জন্য তিনি শিয়া নেতাদের কড়া সমালোচনা করেছেন। আল-সদর বিস্তারিতভাবে তার পরিকল্পনার কথা জানাননি। তিনি বলেছেন, কিছু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক সংগঠন খোলা থাকবে।
এরপর তার সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। আল-সদর ঘোষণা করেন, এই সংঘর্ষ না থামা পর্যন্ত তিনি অনশন করবেন।
আল-সদরের ঘোষণার পরেই তার সমর্থকরা রিপাবলিকান প্যালেসের ভিতরে ঢুকে পড়েন। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর অফিস। হাজার হাজার সমর্থক সেখানে ঢুকে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাধিমি জানিয়েছেন, পরবর্তী ঘোষণা পর্যন্ত তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠক বাতিল করলেন।
এই প্যালেসের সামনে সিমেন্টের ব্যারিকেড লাগানো ছিল। বিক্ষোভকারীরা দড়ি দিয়ে সেসব ব্যারিকেড ফেলে দেয়। এরপর ইরাকের সেনা জানায়, বিক্ষোভকারীরা যেন প্যালেস থেকে চলে যায়। তারা যেন সংযত থাকে। সংঘর্ষে না জড়ায়। সামরিক বাহিনীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি ভবন, আন্তর্জাতিক মিশন, বেসরকারি বাড়ি রক্ষার দায়িত্ব তাদের। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়, বাগদাদে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে।
কিন্তু এরপরেও আল-সদরের সমর্থকরা বিক্ষোভ জারি রেখেছেন। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তারা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যূত করতে বদ্ধপরিকর।
বাগদাদে গ্রিন জোনের বাইরে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা সমানে গুলির শব্দ পাচ্ছেন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে। আল-সদরের সমর্থক এবং ইরানপন্থি গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ চলছে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি চলেছে। বিক্ষোভকারীরা বিমানবন্দর যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
অ্যামেরিকায় হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, তারা ইরাকে দূতাবাস বন্ধ করার কথা ভাবছেন না। তবে তিনি জানিয়েছেন, ইরাকে অস্থিরতার ঘটনায় অ্যামেরিকা চিন্তিত।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/