ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

দেশের ১৪ শতাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কখনো নিবন্ধনই করেনি

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশে অবৈধ ও অনিবন্ধিত হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযান চলছে। এরমধ্যেই দেশে অনিবন্ধিত হাসপাতালের সংখ্যা নিয়ে অবাক করা তথ্য দিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

সংস্থাটি বলছে, দেশে এমন বহু বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে যারা নিবন্ধনের জন্য কখনোই আবেদন করেনি, শতকরা হিসেবে যা ১৪ শতাংশ।

আর যারা কোন এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, তাদের মধ্যেও বড় একটি সংখ্যক হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে আইসিডিডিআরবি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গবেষণা উপাত্ত তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) সিনিয়র ডিরেক্টর ডা. শামস এল আরেফিন।

তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিভিন্ন সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান পরিচালনা করেছে। এবিষয়টি দেখতে ইউএস-এইডের সহায়তায় আমরা ১২ সিটি করপোরেশনের ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় একটি গবেষণা জরিপ পরিচালনা করি। এতে স্থানীয় সিভিল সার্জনসহ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল সহায়তা করে।

তিনি বলেন, গবেষণাটি করতে গিয়ে ১১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে অ্যাসেসমেন্টের (মূল্যায়ন) জন্য সহযোগিতা চাওয়া হয়, কিন্তু তাদের মধ্যে ৪০টি হাসপাতালই সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। সবশেষে ১১১৭টিতে অ্যাসেসমেন্ট করা হয়।

শামস এল আরেফিন বলেন, জরিপ করা ১১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় এসেছিল, শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৮৬ শতাংশ। আর বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনোই নিবন্ধন করেনি, যা শতাংশ হিসাবে ১৪ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (দশমিক ৫ শতাংশ) এবিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।

এসবি/