ঢাকা, শনিবার   ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৫ ১৪৩১

ভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচানোয় চার হাত-পা অবশ (ভিডিও)

রংপুর ও সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:৩৯ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার

গাইবান্ধার কিশোরী সুস্মিতার ওড়না ভ্যানের চাকায় পেঁচিয়ে গলায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অবশ হয়ে গেছে হাত-পা। কিছুদিন চিকিৎসা চললেও অর্থের অভাবে এখন তা বন্ধের পথে। 

ভ্যান, রিক্সা কিংবা অটোভ্যানে স্কুলে যায় অনেক কিশোর-কিশোরী। যাবার পথে অসতর্ক মুহূর্তে চাকায় আটকে যায় ওড়না বা জামা। গলায় টান লেগে মৃত্যুও হয়। অনেকে আবার পঙ্গুত্ব বরণ করে বেঁচে থাকেন জীবনভর। 

গাইবান্ধার ৭ম শ্রেণির সুস্মিতা শীল। ৪ এপ্রিল স্কুলের যাবার সময় গলায় পেঁচানো ওড়নাটি অসাবধানতাবশতঃ ভ্যানের চাকার পেঁচিয়ে যায়। এরপর গলায় প্রচণ্ড ব্যথা পেয়ে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায় রাস্তায়।

সুস্মিতা জানান, “স্কুলে যেতে ভ্যানে চড়ে ছিলাম। ভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচালে পড়ে যাই। এখন খাওয়া-দাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।” 

এখন হাসপাতালের বিছানায় দিন কাটছে সুস্মিতার। গলায় রক্ত জমাটের পাশাপাশি হাত-পা অবশ হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রতিদিন তার চিকিৎসা খরচ দু’হাজার টাকা। সেলুন কর্মচারি বাবা রতনশীল মেয়েকে বাঁচাতে সহায়সম্বল সব বিক্রি করে এখন নিঃস্বপ্রায়।

সুস্মিতার চাচা জানান, “ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন ডাক্তার। পয়সাকড়ি নাই, কেমন করে নিয়ে যাব।”

সুস্মিতার মা জানান, “কেউ যদি সাহায্য হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে মেয়ের চিকিৎসা করা সম্ভব হবে।”

চিকিৎসক জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে ঢাকায় নেওয়া প্রয়োজন। 

থেরাপিস্ট আব্দুল মজিদ বলেন, “যেহেতু ওর চার হাত-পা অবশ। স্ট্রোক করার পর কোন রোগী প্যারাইলিসিস হলে বলতে পারি দুই মাস, তিন মাস বা ছয় মাস লাগবে। কিন্তু এর বেলায় এমনটি সুযোগ নেই।”

চিকিৎসক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা বুলবুল বলেন, “মেয়েটির ইন্টার রেগুলারি সার্ভিক্যাল কর্ডে ইনজুরি আছে। তার সি-২ এবং সি-৬ পর্যন্ত একটা লিসন আছে। যার কারণে তার চার হাত-পা প্যারালাইস্ট।”

সুস্মিতার অসহায় পরিবার তাকিয়ে আছে হৃদয়বান মানুষের দিকে। তারা সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিলেই সুস্থ হয়ে সুস্মিতা এগিয়ে যেতে পারে জীবনের দিকে।

সহায়তা করতে বিকাশ করতে পারেন ০১৭২৫২৪৩০৩০ নম্বরে।

এএইচ