আজারবাইজানের শান্তি ও আশার প্রতীক হাজার বছর আগে নির্মিত সেতু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৩ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ১০:৩৪ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার
আজারবাইজানের প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন খুদাফারিন নামে সেতু দুটি। ইরান সীমান্তে আরজ নদীর উত্তর এবং দক্ষিণ তীরে সেতু দুটি প্রায় ৯শ থেকে এক হাজার বছর আগে নির্মিত বলে ধারণা ইতিহাসবিদদের। ভারত, মধ্যপ্রাচ্য, রাশিয়া এবং ইউরোপের সাথে আজারবাইজানের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই সেতুগুলোর।
আজারবাইজানের জাবরাইল জেলায় হাজার বছর ধরে আছে ঐতিহাসিক দুটি সেতু খুদাফারিন। দেশটির মধ্যযুগের শহরগুলোকে ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে যুক্ত করতে ক্যারাভান সড়কে তৈরি হয়েছিল অনন্য এই স্থাপত্যগুলো।
ধারণা করা হয় পাথরের তৈরি প্রথম সেতুটি নির্মিত হয় একাদশ শতাব্দীতে। যার রয়েছে ১১টি খিলান বা পিলার। ১৫ পিলার যুক্ত ইটের তৈরি অন্য সেতুটি তৈরি হয়েছিল ত্রয়োদশ শতাব্দীতে।
সেতু দুটি কে নির্মাণ করেছিল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি ইতিহাস থেকে। কিছু ইতিহাসবিদদের মতে, এগুলো ১০২৭ সালে সম্রাট সাদ্দাদের ছেলে ফাজল তৈরি করেছিলেন।
তখনকার সময় বিশ্বের সাথে আজারবাইজানকে সংযুক্ত করতে বড় ভূমিকা রেখেছিল এই সেতুগুলো।
পাথরের সেতুটি ১৯৩০ সাল পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে অক্ষত এবং ব্যবহারযোগ্য ছিল। বর্তমানে সেতুর ১১টি পিলারের মধ্যে মাত্র তিনটি অবশিষ্ট রয়েছে।
সেতু দুটির আরেকটি নাম আকাঙ্ক্ষার সেতু। যা ২০২০ সালের অক্টোবরে জাবরাইল জেলাকে আর্মেনীয়দের কাছ থেকে দখলমুক্ত করার পর পরিচিতি পায়। বর্তমানে সেতুগুলোকে শান্তি ও আশার প্রতীক হিসেবে দেখেন দেশটির নাগরিকরা।
এসবি/