ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

জিয়ার ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স আইন অনুমোদনে কলংকিত হয়েছিল সংবিধান

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১০:৫৭ এএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৭:১৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৩ শনিবার

ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল খন্দকার মোশতাক। আর জিয়াউর রহমান এই কালো আইন অনুমোদন দিয়ে কলংকিত করেছিল সংবিধান। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে শেখ মুজিব হত্যার বিচার হলে জাতি কলংকমুক্ত হয়।

জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। ১৯৯৬ সালের ২ অক্টোবর বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহকারী এ এফ এম মোহিতুল ইসলাম ১৫ আগস্ট নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় এফআইআর করেন।

১৯৯৬ সালের ১৪ নভেম্বর খুনিদের বিচারের হাতে ন্যাস্ত করতে পার্লামেন্টে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করা হয়। 

১৯৯৭ সালের ১৫ জানুয়ারি এই মামলায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। ১২ মার্চ ছয় আসামির উপস্থিতিতে শুরু হয় বিচার ।

দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর মামলার রায়ে আদালত ১৫ জন আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেয়।    

২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৪ দিনের শুনানি শেষে বিভক্ত রায় প্রদান করেন। বিচারক এম রুহুল আমিন অভিযুক্ত ১৫ আসামির মধ্যে ১০ জনের মুত্যুদন্ডাদেশ বজায় রাখেন। কিন্তু অপর বিচারক এবিএম খায়রুল হক অভিযুক্ত ১৫ জনকেই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড প্রদান করেন। পরে হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে ১২ আসামির মৃত্যুদন্ড বহাল থাকে।

২০০১ সালের অক্টোবরের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে বিচার কাজ বন্ধ করে খালেদা জিয়ার সরকার। 

২০০৯ সালে আবারো বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকার গঠন করলে গতি পায় এ মামলা। ২০০৯ সালের ১২ নভেম্বর ২৯ দিনের শুনানির পর চূড়ান্ত আপিল শুনানি শেষ হয়। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ৫ আসামির দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করা হয়। 

২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের রিভিউ খারিজ হয়ে গেলে ২৮ জানুয়ারি ৫ আসামি ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও একেএম মহিউদ্দিন এর ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। 

২০২০ সালে ৪ মে ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।  ১২ আসামীর মধ্যে ছয় জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে।  আর আজিজ পাশা ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যায়। পলাতক নুর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছে। 

এছাড়া মোসলেম উদ্দিন, শরিফুল হক ডালিম ও খন্দকার আব্দুর রশিদের অবস্থান এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

এসবি/