ঢাকা, সোমবার   ০২ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

একটি গ্রামের ৩৩ শতাংশ মানুষ ইউটিউবার! আয় লক্ষাধিক টাকা!

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ৩১ আগস্ট ২০২২ বুধবার

ভিউ-লাইক-সাবস্ক্রাইব-শেয়ার, নতুন শতাব্দীর বিনোদনের ভাষা। হ্যাঁ, ইউটিউব চ্যানেলের কথাই হচ্ছে। যা বদলে দিয়েছে সমসময়ের বিনোদনের চেহারা। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও ইউটিউবারের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে। ঠিক কতটা বাড়ছে? এই বিষয়ে খানিক আন্দাজ দিতে পারে দেশটির ছত্তিশগড়ের একটি গ্রাম। যার নাম তুলসী। যেখানে ৩ হাজার মানুষের বাস, ১ হাজার জন ইউটিউবার। বিশ্বাস করা কঠিন হচ্ছে তো?

তবে জেনে রাখুন, গ্রাম ভরতি ইউটিউবের কারণেই এ গ্রামের ডাকনাম হয়েছে ইউটিউবারদের গ্রাম। ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর কে ৪৫ কিলোমিটার দূরে তুলসী। যেখানকার তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারিবারিক ভাবেই রয়েছে শিল্পসত্তা। বাপ-কাকারা নাটক-যাত্রা করতেন। নতুন প্রজন্ম মোবাইল হাতে তুলে নিয়েছে প্রতিভার উন্মোচনে। তুলসীর এক তরুণী ইউটিউবারের বক্তব্য, বর্তমানে গ্রামের বাসিন্দাদের চালু ইউটিউব চ্যানেলের সংখ্যা ৪০। প্রশ্ন হল, হঠাৎ এভাবে ইউটিউবে মাতলেন কেন গ্রাম ভরতি মানুষ?

আসলে জ্ঞানেন্দ্র শুক্লা ও জয় বর্মার সাফল্যেই তুলসীতে জোয়ার আসে ইউটিউব চ্যানেলের। ব্যর্থতার সিঁড়ি বেয়েই সাফল্যের মুখ দেখেন ওরা। ব্যাঙ্কের চাকুরে জ্ঞানেন্দ্র ২০১১-১২ সালে বড়সড় ঝুঁকি নেন। নিরাপদ চাকরি ছেড়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলেন। শুরুতে হোঁচোটও খাচ্ছিলেন। কিন্তু গ্রামে রামলীলায় অভিনয় করার অভিজ্ঞতা কাজে আসে। বর্তমানে জ্ঞানেন্দ্র শুক্লার চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১.১৫ লক্ষ। এখনও পর্যন্ত ২৫০টি ভিডিও আপলোড করেছেন তিনি নিজের চ্যানেলে। অন্যদিকে অস্থায়ী শিক্ষকতা ছেড়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছিলেন জয় বর্মা। জয় জানান, আগে তার মাসিক আয় ছিল ১২ থেকে ১৫ হাজার। এখন মাস গেলে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চোখ বন্ধ করে উপার্জন করেন, নেপথ্যে তার ইউটিউব চ্যানেল। যে কাজ করে তিনি আনন্দও পান।

জ্ঞানেন্দ্র বলেন, “আমাদের দেখে উৎসাহিত হয়েছেন মানুষ। গ্রামের প্রায় ৪০ শতাংশ বাসিন্দার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। আরও আনন্দের হল, সেখান থেকে ভাল আয় করছেন সকলেই।” জয় বলেন, “এ গ্রামের প্রায় সকলে ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে পড়ে রয়েছে। নিশ্চয়ই এমনি এমনি নয়।” 

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসবি/