ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইউপি চেয়ারম্যানের দুই ঘণ্টা হাজতবাস

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৩৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান

তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধান

আদালতের আদেশ অমান্য করার দায়ে নাটোরের তেবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘণ্টার হাজতবাসের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমান এই নির্দেশ দেন। আদালতের কাঠগড়ায় উক্ত চেয়ারম্যানকে দাঁড় করিয়ে রেখে এই সাজা দেয়া হয়। 

তবে, ঘন্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নাটোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেঞ্চ সহকারি আব্দুল মজিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সূত্রে জানা যায়, সদর আমলী আদালতে তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জেবা খাতুন বাদি হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন। আদালত ওই ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু নিজে দায়িত্ব পালন না করে ইউপি সচিবকে দিয়ে কাজটি করান চেয়ারম্যান ওমর আলী। 

ইউপি সচিব প্রতিবেদন দিলে তাতে অনেক ভুল তথ্য পাওয়া যায়। ওই বিষয়ে চেয়ারম্যানকে তলব করে আদালত। 

আদালতের প্রশ্নের জবাবে সচিবকে দিয়ে কাজ করানোর কথা স্বীকার করলে আদালত চেয়ারম্যানকে শাস্তি হিসেবে ২ ঘণ্টা হাজতবাসের আদেশ দেয়। এই নির্দেশের পর ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ ঘন্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। অবশ্য ঘন্টাখানেক পর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতাদের অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।

চেয়ারম্যান ওমর আলী প্রধানকে দুই ঘন্টা হাজতবাসের নির্দেশের খবরটি দ্রুত নাটোর শহরে ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মানুষ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখতে আদালতে ছুটে যান। 

এ সময় সাধারণ মানুষ বলতে থাকেন, আজকের বিষয়টি অন্য সকল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের জন্য অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

এএইচ