ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

বিলকিসকে কী জবাব দিবেন? প্রশ্ন শাবানা আজমির

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০৮ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার

ভারতে বিলকিস বানো ধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের জেল থেকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। ইতিমধ্যেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ  তাদের প্রায় ‘বীরে’র মর্যাদা দিয়েছে। কিন্তু এরই সঙ্গে ওই ধর্ষকদের মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। আর এবার এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শাবামা আজমি বলেছেন, ”আমি খুবই হতবাক হয়েছি। ধর্ষকদের লোকে উল্লাস করছে। সমাজের কাছে কী বার্তা যাচ্ছে এই ঘটনায়! আর মহিলা সাংসদ এবং মহিলা মন্ত্রীরা পুরো ঘটনায় একেবারে চুপ।আর এই দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী শক্তির কথা বলেন! আমার নিজের লজ্জা লাগছে। আমরা কী জবাব দেব বিলকিসকে! ”

প্রসঙ্গত, ১৮ বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শুরু হয়। সেই সময় সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা ছিলেন বিবেক। ২০১৫ সালে অবসর নেন তিনি। এবার এই বিতর্কে মুখ খুললেন তিনি। তার কথায়, ”জনতার একাংশ ও সংবাদমাধ্যম যেভাবে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে, প্রতিবাদ মিছিল করছে, দাবি করছে বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তি পাওয়া অন্যায্য তা ভিত্তিহীন। কেবল প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই এমনটা বলা হচ্ছে। এটা ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী।”

২০০২ সালে সাবরমতী এক্সপ্রেসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ব্যাপক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হয় গোটা গুজরাট জুড়ে। সেই সময়েই ২১ বছর বয়সি তরুণী বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করা হয়। ঘটনার সময়ে গর্ভবতী ছিলেন বিলকিস। দাঙ্গার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়েই তাকে গণধর্ষণ করা হয়। শুধু তাই নয়, তার তিন সন্তানকেও খুন করা হয়।

২০০৮ সালে এগারোজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেয় মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালত। তাদের মধ্যে ছিলেন দু’জন চিকিৎসক, যারা প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করেছিল। একই অপরাধে কয়েকজন পুলিশকর্মীকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মেয়াদ ফুরনোর আগেই তাদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার। যাকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

এসবি/