বাংলাদেশের এশিয়া কাপ ব্যর্থতার ৫ কারণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এবার এশিয়া কাপেও চূড়ান্ত ভরাডুবি হলো সাকিব আল হাসানদের। গত দুই বারের ফাইনালিস্টরা একটিও ম্যাচ জিততে পারেনি এবার। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় বাংলাদেশ দলকে।
অনেকেই বলছেন, দলের সিনিয়র তারকারা গায়ে হাওয়া লাগালে তো এমন ফলই প্রত্যাশিত। অনেকে উল্লেখ করেছেন আরো কয়েকটি কারণ।
চলুন, দেখে নেয়া যাক, এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার ৫টি কারণ-
সেরা তারকার ব্যর্থতা:
দলের সেরা তারকার ব্যর্থতা এশিয়া কাপ থেকে বাংলাদেশের ছিটকে যাওয়ার অন্যতম কারণ। ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান ব্যাটে-বলে নির্ভরতা দিতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিনি ৯ বলে মাত্র ১১ রান করেন এবং ১৩ রানে ১ উইকেট নেন। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ বলে ২৪ রান করেন সাকিব এবং ৩১ রান খরচ করেও কোনও উইকেট নিতে পারেননি। সুতরাং দুই ম্যাচে তারকা অল-রাউন্ডারের ব্যক্তিগত সংগ্রহ সাকুল্যে ৩৫ রান ও ১টি উইকেট।
মুশফিক-রিয়াদের ব্যর্থতা:
শতাধিক বেশি ম্যাচ খেলা মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ১ ও ৪ রান করে আউট হন। দুটি ম্যাচে মোট ৫ রান করা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ মিস করেন মুশফিক। বড় ভায়রা মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মন্দের ভালো হলেও সিনিয়র তারকা হিসেবে যেমন দায়িত্ব নেয়া উচিত ছিল তার, তা তিনি পালন করতে ব্যর্থ।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বলে ২৫ রানের টেস্টসুলভ ইনিংস খেলেন মাহমুদুল্লাহ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অবশ্য করেন ২২ বলে ২৭ রান। সুতরাং বাংলাদেশের সিনিয়র তারকারা সামনে থেকে লড়াই চালাতে পারেননি।
স্পিনে দুর্বলতা:
স্পিন বোলিং-ই বাংলাদেশের প্রধান শক্তি। তবে এশিয়া কাপে নিজেরাই প্রতিপক্ষের স্পিন বোলিং যথাযথ সামলাতে পারেনি টাইগাররা। আফগানিস্তান ম্যাচে মুজিব উর রহমান ও রশিদ খানের সাঁড়াশি আক্রমণে দিশেহারা দেখায় সাকিবদের। শ্রীলঙ্কা ম্যাচেও হাসারাঙ্গা-থিকসানারা বিব্রত করেন বাংলাদেশের ব্যাটারদের। যার মাশুল গুণতে হয় সাকিবদের।
দুর্বল ফিল্ডিং:
শ্রীলঙ্কা ম্যাচে তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত দুটি ক্যাচ নিলেও সার্বিকভাবে বাংলাদেশের ফিল্ডিং ছিল যাচ্ছেতাই। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ছেড়েছেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। রান-আউটের সহজ সুযোগও হাতছাড়া করেছেন। ফলে বাড়তি চাপ পড়েছে বোলারদের ওপর।
বোলিং বিভাগের ব্যর্থতা:
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারের পরে বাংলাদেশ দলনায়ক সাকিব আল হাসান তাদের ডেথ ওভার বোলিং ভালো হয়নি বলে অজুহাত দেন। তবে সার্বিকভাবে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং বিভাগ পুরোপুরি ব্যর্থ বলা চলে। সাকিব ছাড়াও বল হাতে নজর কাড়তে পারেননি মাহেদি হাসান। তাছাড়া মুস্তাফিজুর রহমানের মতো তারকা পেসারও করতে পারেননি কার্যকরী বোলিং। যার ফল ভুগতে হয়েছে পুরো দলকেই।
এনএস//