ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভিডিও দেখুন

খবর পড়ার সময় সঞ্চালকের মুখ ঢুকে গেল মাছি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১০ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৩:১৮ পিএম, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

সঞ্চালকদের অনেক কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। সময়কে যথাযথ ব্যবহার করতে খেয়াল রাখতে হয় নানান দিকে। লাইভ টেলিকাস্টে খবর পড়ার সময়ে অনেক কিছুই ঘটে, যার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় তাদের। বিশেষ করে কখনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে টেলিপ্রম্পটার, কখনও বা যান্ত্রিক ত্রুটি, কখনও পর্দার ওপারে থাকা সাংবাদিক বা কোনও অতিথির কোনও মন্তব্য শুনে সেগুলিকে সামাল দেয়া, সব প্রস্তুতিই রাখতে হয়। কিন্তু তাই বলে মাছি!

হ্যাঁ, এমনই ঘটেছে কানাডার এক সঞ্চালকের সঙ্গে। এক বেসরকারি চ্যানেলের সঞ্চালক ফারাহ নাসের যখন খবর পড়ছিলেন, তখন তার মুখে ঢুকে পড়ে একটি মাছি। তার পরে কী করেন ফারাহ? নিজেই সেই ভিডিও শেয়ার করেছনে সঞ্চালক। 

বেসরকারি চ্যানেলটিতে খবর পড়ছিলেন সারাহ। সেই সময়েই তার মুখে ঢুকে যায় মাছিটি। কিন্তু নিজের কাজ থামাননি তিনি। বরং পেশাদারিত্বের খাতিরেই খবর পড়ে গিয়েছেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি। তার এই কাণ্ড কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও হয়েছে। 

কিন্তু এই ঘটনার অন্য একটি দিকও আছে। এই ঘটনাটি ঘটার পরে অন্য এক সংবাদমাধ্যম একটি অনুষ্টান করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হালে কানাডাতে এমন বহু ঘটনাই ঘটেছে, যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলার সময়ে অনেকেরই মুখে মাছি ঢুকে গিয়েছে এবং তাতে কথা বলায় বাধা পড়েছে। এর পিছনে জলবায়ু সংক্রান্ত কোনও প্রভাব বা পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। 

সারাহ জানিয়েছেন, এই বিশেষ ঘটনার দিনে খবর পড়তে শুরু করার আগেই তিনি টের পান, স্টুডিয়োতে একটি মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। সেটি কখনও কখনও তার মুখের আশপাশেও উড়ছিল। তখন তিনি মনে মনে বারবার বলেন, “আজ যেন কোনও সমস্যার মধ্যে না পড়ি, আজ যেন মাছিটা আমায় না জ্বালায়।”

কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মাছিটি ঠিকই তা মুখে ঢুকে পড়েছে। তবে সেই পরিস্থিতি তিনি যেভাবে সামলেছেন, তা দেখেই অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

সকলেই বলেছেন, সারাহ খুবই পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন। অন্য সংবাদমাধ্যমগুলোও তার এই কাণ্ডের প্রশংসা করেছে।  

তবে এমন ঘটনা যে এবাই শুধু ঘটেছে তা কিন্তু নয়, এর আগেও দেখা গেছে এই চিত্র।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আরএমএ/ এসএ/