শুধু ঘুমিয়েই ৬ লাখ টাকা জিতলেন হুগলীর তরুণী!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:১১ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার
হুগলীর শ্রীরামপুরের তরুণী ত্রিপর্ণা
ঘুমাতে প্রচণ্ড ভালোবাসেন তিনি। এর জন্য বাড়িতে বকুনিও জুটেছে বিস্তর। এমনকি, চাকরির ইন্টারভিউয়ে গিয়েও ঘুমিয়েছেন তিনি। আর সেই ঘুমিয়েই রেকর্ড গড়ে ফেললেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর শ্রীরামপুরের তরুণী ত্রিপর্ণা। জিতে নিলেন ৬ লাখ টাকা পুরস্কারও।
সম্প্রতি একটা ঘুমানোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করে একটা ম্যাট্রেস কোম্পানি। কে কতক্ষণ টানা ঘুমাতে পারেন, সেটাই ছিল প্রতিযোগিতা। সেখানে নাম লিখিয়েছিলেন বহুজাতিক সংস্থার কর্মী ত্রিপর্ণা। এক টানা ১০০ দিন ৯ ঘণ্টা করে ঘুমিয়ে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন এই তরুণী।
ত্রিপর্ণা জানান, ছোটবেলা থেকেই ঘুমাতে বড্ড ভালোবাসেন তিনি। এখন কাজ করেন একটি বহুজাতিক সংস্থায়। সংস্থাটির মূল অফিস যুক্তরাষ্ট্রে। তাই শ্রীরামপুরের বাড়ি থেকেই অফিসের কাজ করেন তিনি। আর এই কাজ করতে হলে রাতও জাগতে হয় তাকে। ঘুমাতে হয় দিনের বেলায়।
তবে শৈশব থেকে ঘুম নিয়ে নানান ঘটনা রয়েছে তার। কখনও বোর্ডের পরীক্ষা দিতে গিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রেই ঘুমিয়ে পড়েছেন। কখনও আবার ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে ঘুমিয়েছেন সেখানেই। আসলে ঘুম পেলেই ঘুমিয়ে যান এই তরুণী। তাইতো তার কাছে এমন একটা প্রতিযোগিতা ছিল বড় ধরণের সুযোগ।
ত্রিপর্ণা এই ঘুমের প্রতিযোগিতার কথা জানতে পারেন নেটমাধ্যমে। সারা ভারতের প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। তবে বাকিদের পিছনে ফেলে ‘সেরা ঘুমকাতুরে’ নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই।
প্রতিযোগীতার আয়োজক সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ দিনের চ্যালেঞ্জে প্রত্যেক প্রতিযোগীকে দিনে ৯ ঘণ্টা করে গভীরভাবে ঘুমাতে বলা হয়েছিল। প্রত্যেক প্রতিযোগীর ঘুমের স্কোরে দেখা যায়, সব থেকে বেশি স্কোর করেছেন ত্রিপর্ণা। তার ঘুমের স্কোর ছিল ১০০-র মধ্যে ৯৫।
এমনকি, ফাইনাল পর্বের সময় ঘুম পর্যবেক্ষণে সংস্থার তরফ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় ত্রিপর্ণার বাড়িতে। নানা বাছবিচার করে তারা বেছে নেন ঘুমে প্রথম স্থান অধিকারকারীকে। সূত্র- আনন্দবাজার।
এনএস//