প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সুখবরের অপেক্ষায় সিলেটের মানুষ (ভিডিও)
সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৪২ এএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী শাসনে বাধা-বিপত্তিতে পানি সঙ্কটে সিলেটের জকিগঞ্জসহ তিন উপজেলার কৃষক। একই কারণে পানির অন্যতম উৎস রহিমপুর খালের প্রবেশমুখে পাম্প হাউস প্রকল্পও চালু করা যাচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সুখবরের অপেক্ষায় এই অঞ্চলের মানুষ।
ভারতের আসাম থেকে নেমে আসা বরাক নদী সিলেট অঞ্চলের পানির প্রধান উৎস। জকিগঞ্জের অমলসীদে এসে বরাক রূপ নিয়েছে সুরমা ও কুশিয়ারায়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিয়ে কুশিয়ারা ও সুরমা প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু উজানের পলি এসে জকিগঞ্জ, কানাইঘাটের খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি সঙ্কটে পূর্ব সিলেটের বিস্তীর্ণ এলাকা।
এলাকাবাসীরা জানান, “বরাক নদীর পানিতে ক্ষেত-খামার সবই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর শুষ্ক মৌসুমে আমরা পানি পাইনা।”
শুস্ক মৌসুমে প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ২০১১ সালে রহিমপুর খালের উৎসমুখে ১৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্প হাউস নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। তবে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত একটি বাঁধ অপসারণে বাধা দিচ্ছে বিএসএফ। এর কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি প্রকল্পটি।
স্থানীয়রা জানান, “এটি নিয়ে অনেক উত্তেজনা ছড়ায়, বিএসএফ-বিডিআর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। বহু কাহিনী হয় এটি নিয়ে, কিন্তু কোনো সমঝোতা হয়নি। সামনে একটি বাঁধ রয়েছে, ওই বাঁধের জন্য আটকে আছে। যার কারণে প্রকল্পটির উদ্বোধন করা যাচ্ছে না।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে প্রকল্পটি উঠছে আলোচনায়। এতে আসতে পারে সুখবর। এমন প্রত্যাশা নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।
জকিগঞ্জের বারঠাকুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহসিন মতুর্জা চৌধুরী বলেন, “এই পাম্প হাউজটি চালু হলেও আমাদের কৃষিনির্ভর কাজের যে প্রথম বাধা সেটি দূর হবে। পানি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।”
সুরমা ও কুশিয়ারার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক হলে এই অঞ্চল হয়ে উঠবে ফসলের ভান্ডার।
এএইচ