মোংলা রেল প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়ন চায় ব্যবসায়ীরা
আবুল হাসান, মোংলা থেকে
প্রকাশিত : ০২:২১ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
পদ্মা সেতুর পর মোংলা বন্দরের গতি বাড়াতে যোগ হতে চলেছে রেল সংযোগ। এরই মধ্যে প্রকল্পের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে উদ্বোধন হওয়ার কথাও রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে মোংলা বন্দরের সাথে ব্যবসা-বাণ্যিজ্যের সম্পৃক্তদের দীর্ঘদিনের দাবির অবসান ঘটবে বলে জানা গেছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বন্দরের পণ্য আনা-নেওয়া করতে সড়ক পথ ও নৌপথসসহ রেলপথের সংযোগ জরুরি। কিন্তু মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ না থাকায় এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন ব্যবহারকারীরা। তাই সংকট সমাধানে ও মোংলা বন্দরকে আরও গতিশীল করতে তিন হাজার ৮শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে রেল সংযোগ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
২০১৬ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ২০২০ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা ছয় বছরেও শেষ হয়নি। এখন শোনা যাচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এর মধ্যে এই প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার হাজার ২৬০ কোটি টাকায়।
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর রেলপথ প্রকল্পের প্রধান প্রকৌশলী ও উপ-প্রকল্প পরিচালক আহম্মেদ হোসেন মামুন জানান, অপ্রত্যাশিত পরিবেশের কারণে এই প্রকল্পের ৯৫ ভাগ ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন আনার কারণেও ব্যয় বেড়েছে।
তিনি আরও জানান, মোংলা রেল পথে ৬৫ কিলোমিটার রেললাইন, ছোট বড় ৩২টি ব্রিজ ও ১০৬টি কালভার্টসহ আটটি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির মহাসচিব অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম বলেন, “এই রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন হতে যত বিলম্ব হচ্ছে ততই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আরও ব্যাপক জায়গা তৈরি হওয়ার দরকার ছিল।”
মোংলা বন্দর বার্থ অ্যান্ড শিপ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, “মোংলা থেকে সরাসরি রেলপথ চালু হলে এখন থেকে ভুটান বা নেপালের উদ্দেশ্যে পণ্য যেতে পারবে। এক্ষেত্রে বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের আরও কাজ বেড়ে যাবে।”
এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান, মোংলা বন্দরের সঙ্গে রেল সংযোগ এই বন্দরকে যেমন গতিশীল করবে, সেই সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে।
রেল সংযোগ চালু হলে এই অঞ্চলের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান, আয়-বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলেও জানান তিনি।
আরএমএ/এএইচ