ইয়েমেনে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদার হামলা, নিহত ২৭
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৫ এএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
আবারও বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইয়েমেনের মাটি, ঝড়ল রক্ত। হামলাটি চালিয়েছে জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়েদা, যাতে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২৭ জনের।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ ইয়েমেনে এই হামলাটি সংগঠিত হয়।
সূত্র জানায়, আল কায়েদা ইন দ্য আরবিয়ান পেনিনসুলা (একিউএপি) ইয়েমেনের দক্ষিণে আবিয়ান প্রদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাত-প্রশিক্ষিত সিকিউরিটি বেল্ট গ্রুপের অবস্থানে হামলা চালায়।
জিহাদি গোষ্ঠীটি ছয় মাসেরও বেশি সময় আগে একই প্রদেশে অপহরণ করা জাতিসংঘের একজন কর্মীর একটি ভিডিও প্রকাশ করার কয়েকদিন পরেই এই সহিংসতা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইয়েমেনের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে এক কর্মকর্তাসহ (সিকিউরিটি বেল্ট) ২১ জন এবং আল-কায়েদা যোদ্ধাদের মধ্যে ছয়জন নিহত হয়েছে।”
একিউএপি এবং ইসলামিক স্টেট গ্রুপের অনুগত সন্ত্রাসীরা দেশটিতে বিশৃঙ্খলা বাড়িয়েছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের শুরুর পর ইয়েমেনের রাজনৈতিক সংকটের অবসান হওয়ার পরিবর্তে তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বর্তমানে ইয়েমেনে কার্যত দুই শাসকগোষ্ঠী সক্রিয় আছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সামরিক সহযোগিতার ওপর ভর করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল এখনও মনসুর হাদির নেতৃত্বাধীন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে, অন্যদিকে উত্তরাঞ্চল সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে হুথি বিদ্রোহীরা।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা বেল্ট নামক এই গ্রুপটি দক্ষিণ ইয়েমেনের একটি শক্তিশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী। এই বাহিনী দেশটিতে জিহাদিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি সন্ত্রাসীদের শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায় পিছু হটতে বাধ্যও করেছে তারা।
সূত্রঃ ডন
আরএমএ