ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

কে কার আগে যাবে, ছো মেরে যাত্রী তুলবে (ভিডিও)

মুহাম্মদ নূরন নবী, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:১০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

রুটভিত্তিক সীমিত সংখ্যক পরিবহন কোম্পানি দিয়ে দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থা সাজালে কমবে সড়ক দুর্ঘটনা। প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা আর পরিবহন ব্যবসায়ীদের ঐকমত্য।

কে কার আগে যাবে; ছো মেরে যাত্রী তুলবে। কম বেশি সব মহাসড়কে একই চিত্র। দুর্ঘটনাও ঘটছে হরহামেশাই।

এক মহাসড়কে বহুসংখ্যক গণপরিবহন কোম্পানির বাস চলে তখন একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। কে কার চেয়ে লাভের পাল্লা ভারি করবে। যার কারণে সড়কগুলোতে ঘটছে দুর্ঘটনা। সাথে সাথে এই বাসগুলোর পরিপূর্ণ সক্ষমতা তারও ব্যবহৃত হচ্ছে না। মহসড়কের ক্ষতি তো আছেই। 

গণপরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি একটা সড়কে সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন কোম্পানি রাখা যায় তাহলে সবকিছুরই সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব হবে। 

ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এই সড়কটুকুকে নিয়ে যদি এরকম সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন নিয়ে এক করিডোরের মধ্যে বাস পরিচালনা করা যায় তাহলে সেটা সারা বাংলাদেশের জন্য একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “বিজ্ঞানময় একটা করিডোরের মধ্যে সেবা দিতে হলে ট্রাঙ্ক কর, একটা ব্রডব্যাংক কানেকশন কর। যা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হবে, একটা অপারেটর হবে। সে যখন বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চাইবে তাহলে তাকে ফিডার সার্ভিস দিয়ে স্থানীয়ভাবে কর দিতে হবে। পদ্মা করিডোর যদি কোনো পাবলিক ট্রান্সপোর্টের মধ্যে পড়তো তাহলে এই করিডোরকে একটা ব্যাকবোন বলতো। পদ্মাসেতু পার হয়ে যখন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাবে তখন ২১টা জেলায় ফিডার বাসগুলো যারা লোকাল ব্যবসা করে তারা দিবে। এটাকে বলা হয় ট্রাঙ্ক অ্যান্ড ব্রাঞ্চ।”

ঢাকা-মাওয়া-জাজিরা হয়ে ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের মত অত্যাধুনিক মহাসড়কগুলোতেও নিয়ম ভাঙার প্রবণতা বেশি। 

অধ্যাপক ড. সামসুল হক বলেন, “পদ্মাসেতুতে যেটা করা হচ্ছে, গন্তব্যনির্ভর অপারেট দেওয়া হচ্ছে। শরীয়তপুরের বাসও পদ্মাসেতু দিয়ে যাচ্ছে, বাগেরহাটেরও বাসও পদ্মাসেতু দিয়ে যাচ্ছে এবং বরিশালেরটা যাচ্ছে। তাহলে বাসের পাল্টাপাল্টি হবে বাসের আধিক্য হবে। সবারই গন্তব্য দক্ষিণবঙ্গে, এটাকে ব্রডব্যান্ড কানেকশন করা উচিত। তারপরে ফিডারের মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউট করা হোক।”

পরিবহন কোম্পানী সংখ্যা সীমিত করলে শৃঙ্খলা ফিরবে সড়কে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, “মেরুদণ্ডটা তৈরি হলো, এটাও কিন্তু আমি বেশি গাড়ি বেশি বাস চালিয়ে ক্যাপাসিটিটাকে এক্সজাস্ট করে ফেলবো। আর দুর্ঘটনাও এটার সাথে লেগেই থাকবে। কারও সাথে পাল্টাপাল্টি না করে পুরো রাইডারশিপ নিয়ে যখন সেবাটা দিবে যাত্রীরা কিন্তু দেখবে ভাড়াও কমে যাচ্ছে।”

পরিবহন খাতের উন্নয়নে প্রয়োজন অনেক উদ্যোগ। কিন্তু এই একটি প্রচেষ্টায় তেমন বাড়তি খরচের শঙ্কা নেই।

এএইচ