ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ফাইনালে যেতে পাকিস্তানের লক্ষ্য ১৩০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি আফগানিস্তানের জন্য বাঁচা-মরার তো বটেই, সঙ্গে ভারতের জন্যও। আফগানরা জিতে গেলে যে ফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকবে ভারতও। অন্যদিকে, পাকিস্তান জিতলে বাবরদের সঙ্গে ফাইনালে উঠে যাবে শ্রীলঙ্কাও।

শারজায় এমনই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। 

ফলে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করলেও পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্রুত ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মোহাম্মদ নবির দল। শেষ দিকে রশিদ খান ও আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারালেও বোর্ডে ১২৯ রানের বেশি তুলতে পারেনি আফগানিস্তান।

রশিদ খান দুই চার ও এক ছয়ের মারে ১৫ বলে ১৮ নিয়ে এবং ওমরজাই এক চারে ১০ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে নাসিম শাহকে সামলে খেললেও মোহাম্মদ হাসনাইন ও হারিস রউফকে বেধড়ক পিটিয়ে মাত্র ২০ বলেই ৩৫ রান তুলে ফেলেন আফগান দুই ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাই ও রহমানুল্লাহ গুরবাজ।

হারিস রউফের করা চতুর্থ ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার আদায় করে তৃতীয় বলটাও থার্ডম্যান দিয়ে উড়িয়ে মারেন জাজাই। তবে তা সরাসরি চলে যায় নাসিমের হাতে। যদিও তা ধরে রাখতে পারেননি তরুণ পেসার। ফলে ১৬ রানেই জীবন পান আফগান ওপেনার।

তবে বাঁচতে পারেননি গুরবাজ। এক বল বাদেই দারুণ এক ডেলিভারিতে তাকে বোল্ড করেন রউফ। ফলে ১১ বলে দুই ছয়ে ১৭ রান করেই এদিন ফিরতে হয় আগের ম্যাচে মাত্র ৪৫ বলে ৮৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলা আফগান মারকুটে ওপেনারকে।

আর পরের ওভারে এসে আরও একটি চার হজম করলেও জাজাইকে তুলে নেন হাসনাইন। চারটি চারের মারে ১৭ বলে ২১ রান নিয়েই জাজাই ফেরেন বোল্ড হয়ে। ফলে ৪৩ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান।

এরপর পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একে একে আউট হয়ে ফেরেন আফগান ব্যাটাররা। এর মধ্যে ইব্রাহিম জাদরান দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেন। তার ৩৭ বলের ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছয়ের মার। 

এছাড়া করিম জানাত ১৫, নজিবুল্লাহ জাদরান ১০ রান করলেও শূন্য রানেই ফিরতে হয় দলপতি মোহাম্মদ নবিকে। 

পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ ২টি এবং নাসিম শাহ, মোহাম্মদ হাসনাইন, শাদাব খান ও মোহাম্মদ নওয়াজ ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

পাকিস্তান একাদশ: 
বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), ফখর জামান, ইফতিখার আহমেদ, খুশদিল শাহ, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, নাসিম শাহ, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

আফগানিস্তান একাদশ: 
হজরতুল্লাহ জাজাই, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, নজিবুল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক), করিম জানাত, রশিদ খান, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, ফরিদ আহমেদ, মুজিব-উর-রহমান ও ফজলহক ফারুকী।

এনএস//