বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস
‘অস্টিওআর্থাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫৭ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৫৭ এএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
‘অস্টিওআর্থাইটিস চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি সবচেয়ে কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি’- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে ৮ সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস’। বিশ্বের ১২১টি দেশে একযোগে এই দিনে ফিজিওথেরাপি দিবস পালন করা হয়।
১৯৯৬ সালে ওয়ার্ল্ড কনফেডারেশন ফর ফিজিক্যাল থেরাপি ৮ সেপ্টেম্বরকে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ দিবসটি পালন করে আসছে।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সমাজের প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়ন করতে সর্বত সহায়তা প্রদান করছে। আমরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন ১০৩টি প্রতিবন্ধীসেবা ও সাহায্য কেন্দ্র এবং ৩২টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রান্তিক মানুষকে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। অটিজম রিসার্চ সেন্টারের মাধ্যমে অটিজম সমস্যাগ্রস্থ শিশু ও ব্যক্তিকে বিনামূল্যে ম্যানুয়াল এবং ইনস্ট্রুমেন্টাল থেরাপিসহ কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করছি।”
সিআরপি অস্টিও-আর্থাইটিস চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অসামান্য অবদান রাখবে এমন আশা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বর্তমান সরকার দক্ষতার সাথে অস্টিও-আর্থ্রাইটিসসহ বাত-ব্যথা ও প্যারালাইসিস রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করেছে। বিভিন্ন গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে- চল্লিশোর্ধ ব্যক্তিদের প্রায় ২৭.৭ শতাংশ অস্টিও-আর্থ্রাইটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এই রোগের চিকিৎসায় ফিজিওথেরাপি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু সিআরপি প্রতি বছর ৯টি শাখার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৮০ হাজার রোগীকে ফিজিওথেরাপি সেবা প্রদান করে আসছে।”
দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, অসারতাসহ এ ধরনের রোগ নিরাময়ে বিশ্বব্যাপী ফিজিওথেরাপি একটি স্বীকৃত, কার্যকরী ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি।
ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব ৭ দশমিক ৩ শতাংশ অস্টিওআথ্রাইটিস রোগী রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগ নারী স্থূলতায় আক্রান্ত বা শারীরিক কার্যক্রমে কম সক্রিয়। অস্টিওআর্থাইটিস হলে হাড়জোড়ে ও মাংসপেশিতে ব্যথা হয়, চলাফেরায় কষ্ট হয়, এমনকি প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
এসএ/