আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস: হাইব্রিড শিক্ষাই কি ভবিষ্যৎ?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৯ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার
প্রতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক স্বাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। আর এই বিশেষ দিনে বর্তমানে সময়ে হাইব্রিড শিক্ষার বিষয়টি খুব তাৎপর্য। অনলাইন যোগাযোগ বর্তমান সময়ের জন্য ভীষণ জরুরি। হাইব্রিড শিক্ষা অনলাইন যোগাযোগের দক্ষতাকে বিকাশ করতে সাহায্য করে। এই বিশেষ দিনে জানুন এর গুরুত্ব।
বিগত কয়েক বছরে শিক্ষার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে এবং হাইব্রিড শিক্ষায় মানুষ দ্রুত অভ্যস্থ হয়ে উঠছে। এখন ভাবতেই পারেন এই হাইব্রিড লার্নিং কী?
এটা হল অনলাইন এবং অফলাইন শিক্ষার মিশ্রণ যেখানে প্রযুক্তির সঙ্গে ক্লাসের শিক্ষাকে একত্রিত করা যায়। বর্তমানে এই ধরনের শিক্ষার প্রাসঙ্গিকতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বেড়েছে। মূলত কোভিডের পর থেকে। আর তাই মনে করা হচ্ছে, হাইব্রিড শিক্ষাই হল ভবিষ্যতের শিক্ষা প্রদানের নতুন পদ্ধতি।
চলুন দেখে নেওয়া যাক হাইব্রিড শিক্ষার দশটি বৈশিষ্ট্য কী কী-
অনলাইন এবং অফলাইন শিক্ষার ভালোগুলোকে একত্রিত করে: হাইব্রিড লার্নিং অনলাইন এবং অফলাইন শিক্ষার ভালো দিকগুলিকে এক করে যাতে ছাত্রদের উভয় জগতের সেরাটি জিনিসটি দেওয়া যায়।
অ্যাক্সেসকে সহজ করে তোলে: হাইব্রিড লার্নিং প্রোগ্রামগুলির সঙ্গে, ছাত্রদের প্রতিদিন কোনও ক্লাসরুমে যেতে হয় না এবং তারা যে কোনও জায়গা থেকেই, যে কোনও সময় শিক্ষার বিষয়বস্তু পেতে পারে বা শিক্ষালাভ করতে পারে। এটি তাদের শেখার এবং উন্নতির করার জন্য একাধিক দক্ষতাকে বিকাশ করতে সাহায্য করে।
সুবিধা: হাইব্রিড শিক্ষা ছাত্রদেরকে কোনও চাপ ছাড়াই তাদের নিজস্ব গতিতে শেখার সুবিধা দেয়।
শিক্ষার ফল: ডিজিটাল টুলের সাহায্যে শিক্ষকরা ছাত্রদের চাহিদা সম্পর্কে আরও ভালভাবে বুঝতে পারেন। এবং তাদের সেভাবে গাইড করেন। এর ফলে তারা আরও ভালো মানের শিক্ষা পেতে পারে।
ছাত্রদের সম্পৃক্ততাকে উৎসাহিত করে: ছাত্ররা হাইব্রিড শিক্ষার কারণে শিক্ষার প্রতি আরও আগ্রহ বোধ করে। হাইব্রিড মডেলটি অত্যন্ত গতিশীল।
ডিজিটাল যুগে সামাজিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করে: অনলাইন যোগাযোগ বর্তমান সময়ের জন্য ভীষণ জরুরি। হাইব্রিড শিক্ষা অনলাইন যোগাযোগের দক্ষতাকে বিকাশ করতে সাহায্য করে। এবং এটি একটি চমৎকার উপায় যার সাহায্যে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ ছাত্র তৈরি করা যায়।
শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক: শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আরও দৃঢ় হয়। এখন কিছু জানার হলে ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ফোনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যায়।
ক্রমাগত শেখার সুযোগ: এই উপায়ে সমানে কিছু না কিছু শেখার সুযোগ থাকে। মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে: নিজের চেষ্টায় কিছু জানা, ভুল ত্রুটি খুঁজে বের করা, কিংবা নতুন কিছু জানতে এই পদ্ধতি ভীষণ সাহায্য করে। এর ফলে ছাত্রদের মনোযোগ বাড়ে।
একটি সক্রিয় শেখার মানসিকতা তৈরি করে: ছাত্রদের প্রয়োজনের সঙ্গে শিক্ষার পদ্ধতিকে উপযোগী করে, হাইব্রিড শিক্ষা তাদের মধ্যে নিজের থেকে, নিজের চেষ্টায় কিছু শেখার যে মানসিকতা সেটা তৈরি করে।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
আরএমএ