ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

এক বছরে হুন্ডির মাধ্যমে ৭.৮ বিলিয়ন ডলার পাচার: সিআইডি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৫ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:৩৭ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর (এমএফএস) প্রায় পাঁচ হাজার অবৈধ এজেন্ট রয়েছে সারাদেশে। এদের কারণে গত এক বছরে প্রায় ৭৫ হাজার কোটি সমপরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে। এজেন্টরা হুন্ডির মাধ্যমে এই টাকা পাচার করেছে। এর কারণে গত চার মাসে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যা ইউএস ডলারে ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের (৭৮০ কোটি) মতো।

এই তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মাদ আলী এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান। এর আগে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে অবৈধ হুন্ডি চক্রের ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডির ফিন্যানশিয়াল ক্রাইম ও সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

সিআইডি প্রধান বলেন, “মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অবৈধ এজেন্টরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে অবৈধ হুন্ডি করে থাকে। বিদেশে তাদের একটি চক্র প্রবাসীদের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে।  সেই চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টরা টাকা পাচারকারীদের কাছ থেকে সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করে প্রবাসীদের স্বজনদের পরিশোধ করে। পরে টাকা পাচারকারী বিদেশের এজেন্টের কাছ থেকে টাকা সেই দেশ থেকে নিয়ে নেয়। এভাবে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে কালোটাকার মালিকরা পাচার করছে। অপরদিকে বাংলাদেশ রেমিটেন্স হারাচ্ছে।”

সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী বলেন, “দেশে হঠাৎ ডলারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে আমরা এই চক্রের সন্ধান পাই। প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় ডলার হয়ে দেশে আসে না। একটি চক্র তা পাচার করে দিচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
এসএ/