ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

সময়সূচি উপেক্ষিত, কক্ষে না থাকলেও চলছে এসি-ফ্যান (ভিডিও)

সাইদুল ইসলাম, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

অফিস শুরু সকাল আটটায়। তবে কেউই আসছেন না অনেক প্রতিষ্ঠানে। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সময়সূচির বদল, উপেক্ষিত সেটিও। কর্মকর্তারা না থাকলেও কক্ষে কক্ষে চলছে এসি আর বাতি, ঘুরছে ফ্যানও।

৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে আটটা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে। নির্ধারিত সময়ের আধাঘণ্টা পরেও আসেননি অধিকাংশ কর্মকর্তা। 

প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষ। ফাঁকা তার চেয়ার কিন্তু চলছে এসি। বড় জানালা থাকলেও জ্বলছে সবগুলো বাতি। কিন্তু কেন মানা হচ্ছে না সরকারি নির্দেশনা, তার জবাব নেই কর্মচারীর মুখে।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অবশ্য ছুটিতে আছেন। কিন্তু জ্বলছে বাতি, এসির সঙ্গে চলছে ফ্যানও। 

সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা মিললো না প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার। তার কক্ষেরও একই অবস্থা। এসি, লাইট বা ফ্যান সবই চালু। 

ডজনখানেক কর্মকর্তার ফাঁকাকক্ষে একইভাবে চলছে এসি-লাইট-ফ্যান। জ্বালানি সংকট নিরসনে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বেশ কিছু নির্দেশনা দিলেও নিজ অফিসেই মানা হচ্ছে না ছিটেফোটাও। কর্মকর্তা পর্যায়ের যারা দিয়েছিলেন থোরাই কেয়ার করছেন খোদ তারাই।

এক কর্মচারী বলেন, “ময়লা পরিষ্কারের জন্য লাইটা জ্বালানো হয়েছে। এসি ছাড়া হয়েছে বাতাসে ফ্লোর শুকানোর জন্য।”

চোখ রাখা যাক রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজউক কার্যালয়ে। নয়টায়ও আসেননি অনেকেই। 

প্রধান প্রকৌশলীকে কক্ষে পাওয়া গেলো না নয়টা দশেও। এসি-লাইট চলছে ঠিকই। সদুত্তর নেই কর্মকর্তার। 

এক কর্মকর্তা বলেন, “স্যার এই মাত্র বের হয়েছেন। তিনি কখন আসেন এ জন্য চালু রাখা হয়েছে। তবে বন্ধ করা উচিত।”

অন্য বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর কক্ষের চিত্রও একই। তিনি নেই, কিন্তু চলছে সবই। 

সম্পত্তি কর্মকর্তাও নেই রুমে। অথচ সাড়ে নয়টায় তার কক্ষে চলছে এসি।

এটি একজন পরিচালকের কক্ষ, অফিসে নেই তিনি। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে নেই কোনো ভ্রুক্ষেপও। 

আসেননি অথরাইজড অফিসারও। কিন্তু বিদ্যুৎ চলছে সবকক্ষে। বড় জানালা দিয়ে সূর্যের আলো ব্যবহারে নেই কোনো উদ্যোগ।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ৫ সেপ্টেম্বর সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কর্মকর্তাদের অধিকাংশকেই পাওয়া গেলো না। কয়েকজন ছাড়া অনুপস্থিত অধিকাংশ কর্মচারীও।

সকাল নয়টার পর থেকে অফিসে ঢুকলেন কয়েকজন কর্মকর্তা। দেরির জন্য নানা অজুহাত তাদের।

এক কর্মকর্তা বলেন, “আমি ফিল্ডে গিয়েছিলাম, ওয়াসার কাজ থেকে তারপর অফিসে আসলাম।”

সকাল আটটায় লালবাগ এসিল্যান্ড অফিসে পাওয়া গেছে একজন ঝাড়ুদার ও এক কর্মচারীকে।

এতো সকালে এসি কেন চালান হয়েছে জানতে চাইলে একজন বলেন, “এই রুমে গ্যাস হয়ে থাকে তাই এসি চালান হয়েছে। গন্ধ যাওয়ার জন্য লাইন-ফ্যান চালু করা হয়েছে।”

তেজগাঁও রেজিস্ট্রি অফিসেও নির্ধারিত সময়ে আসেননি প্রায় সবাই। সকাল দশটায়ও সাব-রেজিস্টার আসেননি।

তবে, সরকারি সিদ্ধান্ত না মানা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হুশিয়ারি দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, “আটটার মধ্যে অফিসে আসতে হবে এবং তিনটার আগে কেউ অফিস থেকে বের হতে পারবেন না।”

নির্ধারিত সময়ে অফিসে আসা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে একযোগে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

এএইচ