ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

কর্ণফুলী টানেল চালু হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশ বাড়বে (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০৮:০৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৮:১২ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামে শিল্পায়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে। কর্ণফুলীর দক্ষিণে গড়ে উঠেছে বড় বড় শিল্প কারখানা। টানেল চালু হলে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১শতাংশ বাড়বে বলে মনে করেন শিল্পপতি, বিনিয়োগকারীরা। 

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ওয়াই জংশন থেকে আনোয়ারা কালাবিবির দীঘি পর্যন্ত সড়কটিকে ঘিরে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। টানেল চালু হলে বিপুল পরিমান যানবাহনের চাপ সামাল  দিতে ছয় লেনে উন্নীত করা হচ্ছে সড়কটি।  প্রায় তিনশ’ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি সংযুক্ত হওয়ার কথা টানেলের সংযোগ সড়কের  সাথে। একই ভাবে কাজ চলছে শিকলবাহা-আনোয়ারা সড়কেরও। টানেল চালু হলে প্রতিদিন চলাচল করবে প্রায় ৬৩ হাজারের বেশি যানবাহন।

স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী আশিক ইমরান বলেন, "এটার যে সুফল সেটা আদায় করার জন্য যে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করা দরকার সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিৎ এবং নিশ্চই সরকার এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ এই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করবে।"

টানেলের সাথে যেসব সংযোগ সড়ক তৈরি হচ্ছে সেসব সংযোগ সড়কে যাতে ভবিষ্যতে যানজট তৈরি না হয় সেজন্য উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ এই বিনিয়োগকারীর।

শিল্পতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, "চট্টগ্রাম শহরে রোড নেটওয়ার্কিং অত ভালো আছে বলে আমার মনে হয়না। যে কারণে এই নেটওয়ার্ক নিয়ে একটু চিন্তা করতে হবে।" 

টানেলের কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পায়নসহ পর্যটন শিল্পের যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তাতে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ১% বাড়বে বলে মনে করেন চট্টগ্রামে এই শিল্পদ্যোক্তা।

বিজিএমইএ এর সাবেক প্রথম সহসভাপতি আবু তৈয়র বলেন, "দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিশাল একটা জনগোষ্ঠীকে যদি আমরা উন্নয়নের চাকার সাথে সংযুক্ত করতে পারি, জাতীয় অর্থনীতিতে এটা বিরাট ভূমিকা রাখবে। আমি মনেকরি এটা এটলিস্ট এক পার্সেন্ট প্রবৃদ্ধি বাড়াবে।"

এদিকে টানেলকে ঘিরে যে সম্ভবনা তৈরি হয়েছে সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার পরমর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: সেলিম উদ্দিন বলেন, "সরকার এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো মিলে যদি এমন একটা মিটিং করে তাদের ডিমান্ডগুলো চিহ্নিত করে, তারা কী চায় এবং কিভাবে চায় এভাবে উদ্যোগ নিলে টানেলের সুফল দ্রুত পাওয়া যাবে।"

কর্ণফুলী টানেলের কারণে শুধু আনোয়ারা বা কর্ণফুলীই নয়, মিরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত শিল্পায়ন ও পর্যটনের নতুন সম্ভবনা তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন তারা। তবে, এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলছেন তারা।
 

এসবি/