ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে যুবলীগ চেয়ারম্যানের শোক

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৯:১৯ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য, জাতীয় সংসদ উপনেতা, সাবেক মন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি-এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

সোমবার এক শোকবার্তায় যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য ও আস্থাভাজন। তিনি ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন থেকে ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এমনকি ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সাত জন নারী গণপরিষদ সদস্যের এক জন ছিলেন তিনি। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন-মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধা।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে একজন অভিভাবক হিসেবে পেয়েছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগ সভাপতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর অগ্রণী ভূমিকা ছিল। আমৃত্যু সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছায়া সঙ্গী হিসেবেই ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ট্রাজেডির পর তিনি শুধু ভুক্তভোগী পরিবারের অভিভাবকই ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

তিনি আরও বলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি হারালো একজন দেশপ্রেমিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিশীল চেতনার অধিকারী রাজনীতিককে। সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

এসি