ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

চীনের কঠোর লকডাউনে ব্যাপক জটিলতায় বিদেশি কোম্পানিগুলো

আবদুল আউয়াল

প্রকাশিত : ০৭:৩৫ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:১২ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

চীনে কঠোর কোভিড লকডাউনের মধ্যে সীমাহীন জটিলতা ও অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছে বিদেশি কোম্পানিগুলো। এমনকি চীনের অর্থনৈতিকভাবে সবথেকে সমৃদ্ধ এলাকা গ্রেটার বে এরিয়ায় বিদিশি কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের চিন্তা থেকে সরে এসে কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া শুরু করেছে। 

মালয়েশিয়া সংবাদমাধ্যম দ্য স্টারে এ কথা লিখেছেন ক্যান্ডি ওং এবং হি হুইফেং।

করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দুই বছরের বেশি সময় ধরে কঠোর এবং অবৈজ্ঞানিক নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে এই পথে হাঁটছে এসব বিদেশি প্রতিষ্ঠান চীনের এই নিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে ইতোমধ্যে সাপ্লাই চেইনে সমস্যা ও পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও অবনতি ঘটেছে।

গোয়াংঝুতে জাপানের একটি কনসালটেন্সি ফার্মের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা টেস চেন বলেন, “জাপানি কোম্পানি এবং অন্যান্য বিদেশি কোম্পানি চীনে তাদের কার্যক্রম পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে।” সংবেদনশীলতার কারণে এই কর্মকর্তা তার ব্যবসার ব্যাপারে বেশি কিছু জানাতে চাননি।

স্টার লিখেছে, চীনের কঠোর শূন্য-কোভিড নীতি দেশের বিদেশি সংস্থাগুলোর সম্ভাবনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এই ধরনের আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া ও বিনিয়োগের গন্তব্য হিসাবে চীনের উপর প্রভাবের বিষয়টি আগামী ২০তম কংগ্রেসের পার্টি নেতাদের ভাবনায় আছে, যারা সেসময় পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য চীনের উন্নয়নে মনোযোগ দেবেন।
ইউক্রেন যুদ্ধ ও তাইওয়ান উপকূলে উত্তেজনার মতো বাহ্যিক কারণগুলো একাধিক ফ্রন্টে চীনের জন্য সমস্যা তৈরি করছে এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ কমছে।

চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জোয়ের্গ ওয়াটকের ভাষ্য, “রাজনৈতিক উন্নয়নের একটি ক্রমবর্ধমান ধারা এখন ব্যবসার উপর প্রভাব ফেলছে। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এক তৃতীয়াংশ বলছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর চীন বিনিয়োগের জন্য কম আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে বিদেশিদের কাছে।”

ওয়াটকের আরও বলেন, চীনের কঠোর ভাইরাস-নিয়ন্ত্রণ নীতি বলছে, বেইজিং ‘অর্থনীতিতে তার আদর্শগত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।”

ক্যান্ডি ওং এবং হি হুইফেং বলেন, “বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ, যা সাংহাইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে ভারী বিধিনিষেধ এবং দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারণে এই প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।”

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বিজনেস কাউন্সিলের একটি জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ওয়েইট অ্যান্ড সি’ নীতিতে রয়েছে। পরবর্তী এক বছরে তারা তাদের কোনো নীতি পরিবর্তনের কথা ভাবছে না।

এসি