আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘর্ষে মৃত একশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার
নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়েছে দুই প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান। গত সোমবার রাতভর হওয়া এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের প্রায় ১০০ সেনা নিহত হয়েছেন। নিহত সেনাদের ৪৯ জন আর্মেনিয়ার এবং ৫০ জন আজারবাইজানের।
এর আগে সংঘর্ষের পর তাৎক্ষণিকভাবে আর্মেনিয়ার অর্ধশত সেনা নিহত হওয়ার কথা জানা গিয়েছিল। সময় গড়ানোর সাথে সাথে আজারবাইজানের সেনা নিহতের তথ্যও সামনে এসেছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
নাগর্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে দুই পক্ষেরই যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ''অন্ততপক্ষে ৪৯ জন সেনার মৃত্যু হয়েছে। দুঃখজনক বিষয় হলো, এটাই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।'' অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
মঙ্গলবার রাতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের ৫০ জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, ''সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি খুবই উত্তেজক।'' আজারবাইজানের তরফে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে। আজারি প্রেসিডেন্টের অফিস থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আর্মেনিয়াই উসকানি দিয়েছিল।
আর্মেনিয়ার অভিযোগ, রোববার মধ্যরাতের পর আজারবাইজানের সেনা তিনটি জায়গায় কামান থেকে গোলা ছুড়তে থাকে। আজারবাইজানের দাবি, আর্মেনিয়া সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিছিয়েছে এবং প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করেছে। তার জেরেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
আর্মেনিয়া জানিয়েছে, তারা এই হামলার জবাব দিয়েছে। তারাও গুলিগোলা ছুড়তে থাকে। ফলে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। আজারবাইজানের অভিযোগ, আগে আর্মেনিয়ার সেনা তিনটি জায়গায় আক্রমণ করেছিল। আজারবাইজানের সেনা তার জবাব দিয়েছে।
আর্মেনিয়া জানিয়েছে, আজারবাইজান সেনার পাশাপাশি বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করেও আক্রমণ শানিয়েছে। আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নাগর্নো কারাবাখ নিয়ে আজারবাইজান কোনোরকম আলোচনায় রাজি নয়।
নাগর্নো কারাবাখ আজারবাইজানের ভিতরে হলেও সেখানে প্রধাণত আর্মেনিয়ার মানুষই থাকেন।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/