ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

রিয়ালকে রক্ষা করলেন ভালভার্দে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৪ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

ফেডে ভালভার্দে ও মার্কো আসেনসিওর শেষ ভাগের গোলে বুধবার আরবি লিপজিগকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলে পরাজিত করেছে। এর মাধ্যমে গ্রুপ-এফ’এ দুই ম্যাচে দুটিতেই জয় নিশ্চিত করে টেবিলের  শীর্ষস্থানেই থাকলো রিয়াল। গ্রুপে গতকাল দিনের আরেক ম্যাচে ইউক্রেনের ক্লাব শাখতার দোনেস্ক ১-১ গোলে সেল্টিকের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে। চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকলো শাখতার দোনেস্ক। 

১৪ বারের ইউরোপীয়ান বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের  জন্য ভালভার্দের গোলের আগ পর্যন্ত বেশ বিপদই অপেক্ষা করছিল। ৮০ মিনিটে শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদ শিবিরে স্বস্তি ফেরান ভালভার্দে। এর মাধ্যমে উরুগুইয়ান এই মিডফিল্ডার তার ফর্মের ধারাবাকিতা বজায় রাখলো। গোলের পর পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যেন স্বস্তি ফিরে আসে। বদলী খেলোয়াড় আসেনসিও এরপর স্টপেজ টাইমে টনি ক্রুজের ফ্রি-কিক থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুন করেন। এ নিয়ে এবারের মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে  আটটি ম্যাচেই জয় নিশ্চিত করলো মাদ্রিদ। 

ম্যাচ শেষে ভালভার্দেকে নিয়ে মজা করে মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, “ঐ গোলের পর আমি ভালভার্দেকে বলেছিলাম সে যদি এবারের মৌসুমে ১০ গোল করতে না পারে তবে আমি আমার কোচিং লাইসেন্স ছিড়ে ফেলবো। তার পায়ে যেন যাদু আছে। সে শুধুমাত্র গতিশীল এবং পরিশ্রমী নয়, পুরো পরিস্থিতি বোঝার মত দারুন ক্ষমতা তার রয়েছে যা সত্যিই অসাধারন একটি গুন।”

ম্যাচের শুরুতে থিবো কোর্তোয়াকে পরীক্ষায় ফেলেছিল লিপজিগ। ক্রিস্টোফার এনকুনকো ডান দিক থেকে আকস্মিক এক শট করে বসেন যা আটকাতে বেশ পেতে হয়েছে কোর্তোয়াকে। অপরদিকে রডরিগোর শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ইনজুরি আক্রান্ত করিম বেনজেমার স্থানে ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ডের উপর আক্রমনভাগের দায়িত্ব পড়েছিল। গত সপ্তাহে দারুন খেলার দরুন এডেন হ্যাজার্ড ও আসেনসিওর বদলে রডরিগোর ছিল মূল দায়িত্ব। 

উভয় দলের জন্য বিরতির আগে ভাল দুটি সুযোগ এসেছিল। কিন্তু টিমো ওয়ার্নার লিপজিগের হয়ে ও এডুয়ার্ডো কানভিনগা রিয়ালের হয়ে সুযোগগুলো হাতছাড়া করেন। মাদ্রিদ ডিফেন্ডার এন্টোনিও রুডিগারের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি মাদ্রিদের। 

বিরতির পরপরই লুকা মড্রিচ চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ডেডলক ভাঙ্গতে না পারায় ধীরে ধীরে সমর্থকরা হতাশা প্রকাশ করতে থাকে। শেষ পাঁচটি ম্যাচে ১৬ গোল করার রিয়ালের জন্য পুরো বিষয়টি ছিল দারুন হতাশার। মিডফিল্ডার কামভিনগার স্থানে আসেনসিওকে নামিয়ে আনচেলত্তি সুপার সাবের সুবিধা আদায় করতে চেষ্টা করেন। এবারের মৌসুমে খুব একটা ম্যাচ খেলতে না পারার হতাশায় আসেনসিওর সাথে কাল সামিল হয়েছিল সমর্থকদেও একাংশ। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে জয়সূচক গোলদাতা ভিনিসিয়াস জুনিয়র পোস্টের খুব কাছে থেকে লিপজিগের গোলরক্ষক পিটার গুলাসিকে পরাস্ত করেত পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৮০ মিনিটে ভালভার্দে ডানদিক থেকে কাট করে কার্লিং শটে রিয়ালকে লিড এনে দেন। এটি ছিল ছয় ম্যাচে তার তৃতীয় গোল। এর আগে লিগে সেল্টা ভিগো ও মায়োর্কার বিপক্ষে তিনি গোল করেছিলেন। একইসাথে ২৪ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার প্রমান করেছেন কেন এই পজিশনে তিনি সেরা। ইনজুরি টাইমে আসেনসিও তার আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। 

ম্যাচ শেষে আনচেলত্তি আসেনসিও প্রসঙ্গে বলেছেন, “আমি তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, আজ সে পারফর্ম করেছে। সে হয়তো খুব বেশী ম্যাচ খেলতে পারেনা, কিন্তু প্রায়ই আমাদের জয়ে সহযোগিতা করে থাকে।”
এসএ/