হাই কোলেস্টেরলে ভুগছেন? মেনে চলুন ৫ নিয়ম!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে আমাদের অজান্তেই শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। আর, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যায়, সেই সঙ্গে বাড়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। কোলেস্টেরল আসলে এক ধরনের মেদ যা কোষের পর্দা তৈরি করে ও তাকে বাইরের চোট-আঘাত থেকে বাঁচায়। এছাড়া কোলেস্টেরল হরমোন, ভিটামিন-ডি এবং পিত্ত রস তৈরির ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শরীরে মূলত দু'ধরনের কোলেস্টেরল পাওয়া যায় - HDL ও LDL। হাই ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন ও লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন। এর মধ্যে প্রথমটি ভালো কোলেস্টেরল, আর দ্বিতীয়টি হল খারাপ কোলেস্টেরল। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পেলেই, ধমনীতে ফ্যাট জমতে শুরু করে, যার ফলে হার্টে রক্ত প্রবাহকে বাধা দেয়। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তাহলে জেনে নিন, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে কী কী নিয়ম মেলে চলবেন...
> ভাজাভুজি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, বিশেষ করে যেগুলোতে অত্যধিক লবণ এবং চিনি রয়েছে সেগুলো একেবারেই না খাওয়া ভালো। বেশি তেল, মশলা, ঘি দেওয়া খাবার বাড়িয়ে দিতে পারে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা, তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন। ওটমিল, কিডনি বিনস, আপেল এবং ব্রাসেলস স্প্রাউটস, বাদাম খেতে পারেন। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরল শোষণ কমায়। এছাড়াও, দুগ্ধজাত খাদ্যে থাকা Whey প্রোটিন LDLএবং মোট কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে।
> অ্যালকোহল বা মদ্যপান শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই মদ্যপান অবশ্যই ত্যাগ করুন। ধূমপান আমাদের হার্ট এবং হার্ট রেটের উপর চাপ বাড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ত্যাগ করলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং HDL কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ায়। কেবলমাত্র ধূমপান ছাড়লেই হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকের বেশি কমে যায়!
> অত্য়ধিক ওজনের ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বাড়ে, যা আপনার ধমনী এবং রক্তনালীর উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাই ভালো। স্বাস্থ্যকর ডায়েট অনুসরণ করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। প্রচুর ফলমূল, শাকসবজি, বাদাম, বীজ এবং গোটা শস্য খান। রোজ প্রচুর পরিমাণে জল পান করাও অত্যন্ত জরুরি।
> কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রোজ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন। শরীরকে সচল রাখা অত্যন্ত জরুরি। দিনের বেশিরভাগ সময় শুয়ে, বসে কাটাবেন না। মর্ণিং ওয়াক, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, নাচ, এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম করতে পারেন। শরীরকে সর্বদা সক্রিয় রাখলে রক্তপ্রবাহে HDL-এর মাত্রা বাড়ে, যা LDL কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই
এমএম/