বায়ার সেইফ ইউজ এম্বাসেডর হলেন শেকৃবি’র শামীমা
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৩১ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
বাংলাদেশ থেকে বায়ার সেইফ ইউজ এম্বাসেডর নির্বাচিত হয়েছেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) শিক্ষার্থী শামীমা আহমেদ।
১৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি রসায়ন বিভাগ ও বায়ার ক্রপ সায়েন্সের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বায়ার সেইফ ইউজ এম্বাসেডর উইনার রিকগনিশন’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বায়ার ক্রপ সায়েন্স থেকে কৃষকদের পেস্টিসাইডের সঠিক ব্যবহারের ভিডিও আহবান করা হয়। এতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ থেকে ১২ জনকে বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে জার্মানি থেকে শামীমা আহমেদকে এম্বাসেডর হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, সাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষি রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শেখ শওকত জামিল, বায়ার ক্রপ স্পেশালিষ্ট খন্দকার ফরিদ উদ্দিন, বায়ার ক্রপ রেগুলেটরী এন্ড মার্কেট ডেভলেপমেন্ট স্পেশালিষ্ট রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সহ বায়ার প্রতিনিধিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বায়ার ক্রপ সায়েন্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক ড. মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া বলেন, “এটা আমাদের জন্য গর্বের। শামীমাকে অভিনন্দন। সে দেশ ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করেছে। ভবিষ্যতেও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও সফলতা অর্জন করবে।”
পেস্টিসাইডের সঠিক ব্যবহার নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমাদের যথেষ্ট খাদ্য উৎপাদন হয়। এখন আমাদের নজর নিরাপদ খাদ্যের দিকে। পেস্টিসাইডের পরিমিত ও সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করণে কৃষকদের বেশি বেশি প্রশিক্ষণ দিতে হবে। অতিরিক্ত পেস্টিসাইড ব্যবহারে খাদ্য বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। তাই এ ব্যাপারে কৃষকদের মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।”
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে এসে শামীমা আহমেদ বলেন, “আমি ছোট বেলা থেকেই একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি কিছু করার চেষ্টা করতাম। এরকম পুরষ্কার আমাকে আরও উৎসাহিত করবে। আমি গবেষণা ও শিক্ষকতা করে এগিয়ে যেতে চাই।”
শামীমা আহমেদ ২০১৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ থেকে অনার্স এবং ২০২০ সালে মাইক্রোবায়োলজিতে এম.এস সম্পন্ন করেন।
এসএ/