ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

‘সংকট উত্তরণের’ পথ দেখাক মহান শিক্ষা দিবস

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ১২:২৭ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১২:৩৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে পূর্ব বাংলা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও প্রাণ উৎসর্গের দিন ১৭ সেপ্টেম্বর। এবার সেই আন্দোলনের ৬০ বছর পূর্তি।  দিনটি পালিত হয় মহান শিক্ষা দিবস হিসেবে। 

পাকিস্তানি শাসন, শোষণ ও শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ১৯৬২ সালের এই দিনে শহীদ হন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ নাম না-জানা অনেকেই। 

এ বছর দিনটি জাতিসংঘ মহাসচিব আহূত ‘ট্রান্সফরমিং এডুকেশন’ বা ‘শিক্ষায় রূপান্তর’ শিরোনামে শীর্ষ সম্মেলনের ‘সল্যুশন ডে’ অথবা সংকট উত্তরণ দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।

স্বৈরশাসক আইয়ুব খান ক্ষমতা দখলের দুই মাস পর ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এসএম শরীফের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিশন শরীফ কমিশন নামে খ্যাত। কমিশন ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট তাদের প্রতিবেদন পেশ করে। আইয়ুব সরকার এ রিপোর্টের সুপারিশ গ্রহণ করে। ১৯৬২ সাল থেকে তৎকালীন সরকার শরীফ কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে শুরু করে।

কমিশনের প্রতিবেদনে উচ্চশিক্ষা ধনিক শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখা হয়। এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ওই দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

সরকারি হিসাবে একজন নিহত, ৭৩ জন আহত এবং ৫৯ জনকে গ্রেপ্তারের কথা বলা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- ৩ জন নিহত হয়েছেন। সেদিন সারাদেশেই মিছিলের ওপর পুলিশ হামলা চালায়। 

দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও আজ কর্মসূচি পালন করবে।

এএইচএস