ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ব্যালটের চেয়েও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব ইভিএমে

স্মৃতি মণ্ডল

প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০৯:০৪ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই; বরং ব্যালটের চেয়েও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব বলে মত বিশ্লেষকদের। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য শুধু রাজনৈতিক দলই নয় ভোটারদেরও আস্থা ফেরাতে হবে ইভিএমে। একইসঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। রাজধানীতে এক গোলটেবিল বৈঠকে উঠে আসে এসব কথা। 

এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের আয়োজনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ও ইভিএম শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

সেখানে প্রযুক্তিবিদ অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ইভিএম প্রযুক্তি যত্নের সাথে করা। কারিগরি দিক নিয়ে যাদের সন্দেহ আছে তাদের উচিত টেকনিক্যাল মানুষ নিয়ে এসে পরীক্ষা করা। তবে বিশ্বমন্দায় ইভিএমের জন্য নতুন বাজেট উদ্বেগজনক।

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, "চেক না করে নন পলিটিক্যাল কথা বলবেন না। যেমন আমি একটা বক্তব্য শুনেছি যে ইভিএমে পুনর্গণনা করা যায়না। কথাটার মানে কী আমি বুঝলাম না। ক্যালকুলেটরে চারের সঙ্গে পাঁচ দিয়ে গুণ করলে আমি ২০ পাবো, আমি একশবার পুনর্গণনা করলে একশবারই ২০ পাবো, তাহলে কেনো আমার যন্ত্রের ভেতরে পুনর্গণনা থাকবেনা।" 

ইভিএম মেশিনের স্বচ্ছতায় ইসির উপর আস্থা রাখার কথা বলেন সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন।

অপরদিকে, আরেক সাবেক কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাখাওয়াত হোসেন বলেন, জনগণের আস্থা না ফেরাতে পারলে ইভিএমে ভোট যত সুষ্ঠু হউক তা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে শুধু রাজনৈতিক দল নয় ভোটারদেরও অংশগ্রহণ; তা নিশ্চিত করার কথা বলেন কেউ কেউ। বিএনপির সবকিছুর উপর আস্থাহীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠে আলোচনার টেবিলে।

নির্বাচন পর্যবেক্ষক মনিরা খান বলেন, "হান্ড্রেড পার্সেন্ট গ্যারান্টি ১৫০ টা জায়গায় ফেয়ার ইলেকশন হবে, বাকি ১৫০ জায়গায় আমরা করতে পারছিনা, তাহলে কি সমান সুবিধা দেওয়া হল।"

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ বলেন, "বিএনপি তো কিছুতেই বিশ্বাস করে না, কোথাও তার আস্থা নেই, একটা জায়গায় বিশ্বাস করে তা হল তত্বাবধায়ক সরকার। আর এটা তো ব্যাস্টিার মওদুদই নষ্ট করেছেন চতুর্থ সংশোধনীর মধ্যদিয়ে।" 

বৈঠকে ভোটার ভেরিফায়েড পেপার অডিট ট্রেইলিং-ভিভিপ্যাট, আঙ্গুলের ছাপ জটিলতাসহ নানা বিষয় উঠে আসে। আস্থাহীনতার সংকট দূর করা ইসির একার পক্ষে সম্ভব নয় বলেও মত দেন আলোচকরা।
 

এসবি/