নববধূর সাজে হাসি-খুশি মেয়েটি ছটফট করছে যন্ত্রণায় (ভিডিও)
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০৫ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার
স্বামীকে মাদকসেবনে বাধা এবং বাবার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল এনে না দেয়ায় গৃহবধূ কাজী সুমাইয়া ইসলামকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাথা ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
মাত্র ১১ মাস আগে নড়াইল সদরের পইলডাঙ্গা গ্রামের আশিক খানের সঙ্গে বিয়ে হয় লোহাগড়ার শামুকখোলা গ্রামের সুমাইয়ার। নববধূর সাজে হাসি-খুশি মেয়েটি এখন শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষত নিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন হাসপাতালের বিছানায়।
স্বজনরা জানান, “মাথা লক্ষ্য করে রড দিয়ে আঘাত করে কিন্তু মাথায় না লেগে তার ঠোটে লাগে। তার ঠোটে ১০টি সেলাই লেগেছে এবং দাঁত ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গেছে।”
নড়াইল সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পার্থসারথি রায় বলেন, “ইন্টারনাল কোনো ড্যামেজ আছে কিনা এটার জন্য টেস্ট দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট এসে পৌঁছায়নি।”
স্বজনরা জানান, স্বামীকে মাদক থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করায় প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন সুমাইয়া। বাবার বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল এনে দেয়ার চাপও ছিল তার উপর। না দেয়ায় গেল বৃহস্পতিবার আশিক সুমাইয়াকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে পালিয়ে যায়।
নির্যাতনের সুষ্ঠু বিচার চায় নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যাতিতা সুমাইয়ার বাবা কাজী নজরুল ইসলাম বাদশা বলেন, “অকথ্য ভাষায় গালাগালির পর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।”
দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
নড়াইল সদর থানার ওসি মাহমুদুর রহমান বলেন, “এ বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধিন আছে, তদন্ত শেষ হলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সুমাইয়া নড়াইলের লোহাগড়া সরকারি আদর্শ কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। অভিযুক্ত স্বামী আশিক নড়াইলে নির্মাণাধীন রেলওয়ে প্রকল্পে চীনা দোভাষী হিসেবে কর্মরত।
এএইচ