পাবনায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:২৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
পাবনার সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় আলাউদ্দিন ওরফে আলাল নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অপরদিকে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় দুইজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পর সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট দেওয়ান মজনুল হক, আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম সুমন।
সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সুজানগর উপজেলার মৃত ডা. ছলিম উদ্দিনের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হাসান, ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল গণি শেখের ছেলে কালাম শেখ, ভাঁড়ারার আওরঙ্গবাদ এলাকার আকবর শেখের ছেলে নজরুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বাহিরচরের আবুল কাশেমের ছেলে রবিউল ইসলাম রবি। আসামিদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর হাসান এবং রবিউল ইসলাম রবি আদালতে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুইজন পলাতক। পরে জাহাঙ্গীর ও রবিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলাল ভাঁড়ারা ইউনিয়নের আওরঙ্গবাদ এলাকার মৃত ইউনুছ আলীর ছেলে। পেশায় তিনি বালু ব্যবসায়ী ছিলেন। আলালের সঙ্গে বালু ব্যবসার সূত্রেই আসামি মো. জাহাঙ্গীর হাসানের দীর্ঘ পরিচয় ছিল।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধে ২০০০ সালের ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অন্যান্য আসামিদের দিয়ে নিহত আলাউদ্দিন ওরফে আলালকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর। পরে তাকে হত্যা করে পাশের চরতারাপুর পয়েন্টের পদ্মা নদীতে ফেলে দেয়। ঘটনার ৩ দিন পর পদ্মা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় নিহত আলালের চাচা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রথমে জাহাঙ্গীরকে অব্যহতি দিয়ে অভিযোগপত্র দিলেও পরে বাদীর না-রাজিতে দ্বিতীয় বারে জাহাঙ্গীরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১২ জনের স্বাক্ষী ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই রায় দিলেন।
কেআই//