ওয়েস্টমিনস্টার গির্জা থেকে উইন্ডসরের পথে রানির কফিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৩৩ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের গির্জায় প্রার্থনা অনুষ্ঠান শেষে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শবমিছিল গির্জা থেকে বের হয়ে উইন্ডসরের পথে যাচ্ছে।
সোমবার ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানির শবমিছিল ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবের ওয়েস্ট গেট দিয়ে ত্রয়োদশ শতকে তৈরি ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় প্রবেশ করেছিল।
রানির শবমিছিল প্রবেশের সময় গির্জায় উপস্থিত দুই হাজার মানুষ উঠে দাঁড়িয়ে রানিকে সম্মান জানান।
ওয়েস্টমিনস্টারের ডিন ডেভিড হোয়েলের নেতৃত্বে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়েছে বলে জানায় বিবিসি।
গির্জায় রানির আত্মার শান্তি কামনা করে কমনওয়েলথের মহাপরিচালক ব্যারোনেস স্কটল্যান্ড প্রথমে বাইবেলের একটি অংশ পাঠ করেন।
তারপর বিশেষভাবে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানের জন্য জুডিথ ওয়্যারের লেখা একটি গান বাজানো হয়। প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস দ্বিতীয়জন হিসেবে বাইবেলের একটি অংশ পাঠ করে রানির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তারপর ক্যান্টার্বুরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি ধর্মাপোদেশ দেয়া শুরু করেন।
এসময় আর্চবিশপ বলেন, ৭০ বছরের শাসনামলে রানি ‘বহু মানুষের জীবন ছুঁয়ে’ গেছেন।
গির্জার অন্যান্য নেতারাও একে একে প্রার্থনা করেন। ১৯৫৩ সালের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের অভিষেক অনুষ্ঠানের যে গানটি গাওয়া হয়েছিল তার শেষযাত্রাও সেই গানটি গাওয়া হয়। জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে গির্জায় প্রার্থনার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়।
১৯৫২ সালে রাজা জর্জের শেষকৃত্যের পর এবারই বড় ধরনের আয়োজনের মধ্য দিয়ে রানির শেষকৃত্য হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে রানির কফিন ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে যাত্রা শুরু করে।
এ সময় রানির বড় ছেলে রাজা তৃতীয় চার্লস, তার বোন প্রিন্সেস অ্যান, দুই ভাই প্রিন্স অ্যান্ড্রু এবং প্রিন্স এডওয়ার্ডসহ ব্রিটিশ রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা রানির কফিন অনুসরণ করেন।
সোমবার পতাকায় মোড়ানো এবং ওপরে রাজমুকুট শোভিত রানির কফিনটি একটি গান ক্যারিজে করে ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে নেয় রাজকীয় নৌ সেনারা।
এই সেই ভবন যেখানে রানির বিয়ে হয়েছিল এবং সিংহাসনে অভিষেক হয়েছিল। এখন সেখানে রানির শেষযাত্রায় প্রার্থনা অনুষ্ঠান হল।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন কয়েকশ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীরাসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রোও সেখানে আছেন।
যুক্তরাজ্যসহ গোটা বিশ্বের মানুষ এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠান দেখবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য জুড়ে বড় পর্দায় হাজারো মানুষ রানির শেষযাত্রা দেখবে।
রানির প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে যুক্তরাজ্যে কয়েকটি সিনেমা হল বন্ধ রাখা হলেও প্রায় ১২৫ সিনেমাহল রানির শেষকৃত্য প্রচারের জন্য খোলা রাখা হয়েছে।
এসবি/