রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার
রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দুয়ার খুললো। এখন থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা এক দেশ থেকে পণ্য কিনে সরাসরি তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন। মার্চেন্ট ট্রেডিংয়ের এই সুযোগ কাজে লাগালে সাশ্রয় হবে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। তবে কঠোর নজরদারি চান অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা।
বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় মার্চেন্ট ট্রেডিং। এর আওতায় রপ্তানি-পণ্য দেশে আনার প্রয়োজন হয় না। ব্যবসায়ীরা অন্য কোন দেশ থেকে পণ্য কিনে তা সরাসরি রপ্তানি করতে পারেন তৃতীয় কোনো দেশে।
যেমন বাংলাদেশের কোনো ব্যবসায়ী ভারত থেকে পণ্য কিনে রপ্তানি করবেন যুক্তরাষ্ট্রে; এক্ষেত্রে ওই পণ্যের এলসি-ব্যাংক হবে বাংলাদেশের। রপ্তানি থেকে অর্জিত মুনাফা বাংলাদেশি ট্রেডার নিজ দেশে আনতে পারবেন।
এতোদিন বাংলাদেশিরা এ ধরনের বাণিজ্য পরিচালনা করতে পারতেন না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এমন সুযোগ রেখে সম্প্রতি একটি নীতিমালা জারি করেছে। রপ্তানি সম্প্রসারণে একে ইতিবাচক বলছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা।
ডিসিসিআই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট শামস মাহমুদ বলেন, “রপ্তানি খাতে নতুন ডাইমেনশন যুক্ত হবে এবং ট্রেডিং ক্ষেত্রেও নতুন ধারার সৃষ্টি হবে। সব মিলিয়ে এটা একটা ভালো জিনিস হবে। কিন্তু এখানে লক্ষ্য রাখতে হবে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী যেটার অধীনে করা হবে, এটা যাতে ঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়।”
অর্থনীতিবিদ ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দুই দেশের মধ্যে শেয়ার হবে, বিক্রি করলে শুধু আমরা কমিশনটা পাবো। এটা আমাদের জন্য নতুন কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিটে এটা হচ্ছে।”
তবে এ ধরনের ব্যবসায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের পাশাপাশি অর্থপাচারের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে কঠোর নজরদারি থাকতে হবে বলে মনে করছেন তারা।
শামস মাহমুদ বলেন, “যখন থার্ড কান্ট্রিতে ট্রেডিং হচ্ছে, এখানে কিন্তু ভয়টা থেকে যায়। আশঙ্কার যথেষ্ট সুযোগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে আশা করি, বাংলাদেশ ব্যাংক ডিসিশনে আসার আগে নিশ্চিয় এই হোমওয়ার্কটা করেই একটা নীতিমালা তৈরি করেছে।”
ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, “না জেনে তো করবে না। যে প্রাকটিসগুলো আছে অবশ্যই দুই পক্ষের মধ্যে সেগুলো ফলো করা যেতে পারে।”
সিঙ্গাপুর, হংকং-সহ বিভিন্ন দেশের ট্রেডারদের মাধ্যমে বিপুল পণ্য ও সেবা আমদানি-রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এ ব্যবসায় বাংলাদেশিরা এগিয়ে এলে বাণিজ্যখাতে সাশ্রয় হবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এএইচ