ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারের হুমকি, বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ বুধবার

ভারত ফেরত এক বাংলাদেশি যাত্রীর মালামাল লুট ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে কর্মরত সিপাহী মনিরুজ্জামানের নামে যশোর আদালতে একটি মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার বাদী ঢাকার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ (৩১)।

তার আইনজীবী রুহিন বালুজ জানান, পাসপোর্টধারী যাত্রী মাসুদ আহম্মেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদি অভিযোগে উল্লেখ করেন, “তিনি গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে ভারতে যান। ১৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দেশে ফেরার সময় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুলপ্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৫ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিক নিয়ে আসেন। ওই পণ্যগুলো নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করে ইজিবাইকে যশোরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।”

“পথিমধ্যে বেনাপোলের সাদিপুর রাস্তার মোড়ের পূর্ব পাশে জিএম পরিবহন কাউন্টারের সামনে পৌঁছুলে আসামি বিজিবির সিপাহী মনিরুজ্জামান মোটরসাইকেলে ইজিবাইকের সামনে এসে গতিরোধ করেন। এ সময় তাকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং এসব মালামালে সমস্যা আছে বলে জানান। ৫০ হাজার টাকা দিলে মালামাল ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। টাকা নেই জানালে গালিগালাজ শুরু করেন তিনি।”

“বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হবে বললে ক্রসফায়ারের হুমকি দেয় ওই বিজিবি সদস্য।” ঘটনাটি ক্যাম্পের সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড আছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিজিবি সিপাহী মনিরুজ্জামান বলেন, “আমি কোন মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক নয়।”

এ ব্যাপারে যশোর-৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শাহেদ মিনহাজ ছিদ্দিকী বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। কোন বিজিবি সদস্য কারো মালামাল লুট করতে পারেন না, বরং তারা উদ্ধার করে কাস্টমে জমা দেন। তবে যিনি মামলা করেছেন তার উচিত ছিলো প্রথমে আমাদের কাছে অভিযোগ দেওয়া। দোষী প্রমাণিত হলে ওই সদস্যকে আইনানুগ ব্যবস্থার আওতায় আনা যেত।”

এএইচ