ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জেমস ওয়েবের ক্যামেরায় ‘নেপচুন’, কৌতূহল সৃষ্টি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৯ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:৫৪ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

মহাবিশ্ব এক রহস্যময় গোলকধাঁধা। যার কুল কিনারা নেই। হাজার কোটি বছর গবেষণা করেও সব রহস্য উন্মোচন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব না। এবার নতুন রহস্য আর নতুন চিন্তা এসে উপস্থিত মানুষের সামনে। যা মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছে।

সৌরজগতের শেষ গ্রহ নেপচুনের এক গুচ্ছ ছবি তুলে পাঠিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থার নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। গত ৩০ বছরে এটির এত সুস্পষ্ট, ঝকঝকে ছবি আর পাওয়া যায়নি। জেমস ওয়েবের নতুন এই ছবিগুলো নিয়ে তাই চলছে নতুন গবেষণা।

পৃথিবী থেকে নেপচুনের দূরত্ব ৪৩০ কোটি কিলোমিটার। পুরু বরফের চাদরে মোড়া গ্রহটিতে নতুন করে আলোকপাত করেছে জেমস ওয়েব। টেলিস্কোপের ছবিগুলোতে নেপচুনের বলয়গুলি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। নেপচুনের বলয় সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ অনেক দিনের। কিন্তু, উপযুক্ত প্রযুক্তির অভাবে এত দূরের গ্রহের চার দিকের বলয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়নি। ১৯৮৯ সালে নাসার ভয়েজার ২ মহাকাশযানের তোলা ছবিতে শেষবার দেখা গিয়েছিল নেপচুনের বলয়। তার পর থেকে আর এই বলয়ের দেখা পাননি গবেষকরা। জেমস ওয়েবের ছবি ঘিরে তাই তাদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, তিন দশক আগে নেপচুনের বলয়ের যে ছবি দেখা গিয়েছিল, তা ছিল খুবই অস্পষ্ট। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ অনেক স্পষ্ট ছবি পাঠিয়েছে। নেপচুনের বলয় নিয়ে গবেষণাকে এই ছবি অনেক এগিয়ে দেবে।

সূর্যের চেয়ে পৃথিবী যত দূরে, নেপচুনের দূরত্ব তার তিন গুণ। সৌরজগতের এক কোণে অন্ধকারময় অঞ্চলে আপন কক্ষপথে ঘোরে এই গ্রহ। 

বিজ্ঞানীরা জানান, সূর্যের আলো সেখানে এতই ক্ষীণ যে নেপচুনের ভরদুপুর পৃথিবীর গোধূলির সমান। নেপচুনকে অতিকায় তুষারের গোলা (আইস জায়েন্ট) বলেন কেউ কেউ। মহাকাশ থেকে এই গ্রহকে গাঢ় বেগুনি রঙের দেখায়। সেই সঙ্গে এই গ্রহের গায়ে এক প্রকার নীলচে আভাও দেখা যায়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
আরএমএ/এসএ/