বাংলা ইশারা ভাষার উন্নয়নে পদক্ষেপ জরুরি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ শুক্রবার
আন্তর্জাতিক ইশারা বা সাংকেতিক ভাষা দিবস ২৩ সেপ্টেম্বর। ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল শ্রবণসংক্রান্ত সমস্যায় ভোগা মানুষদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাদের সাহায্যার্থে জনসচেতনতা গড়ে তোলা।
সারা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বধির মানুষদের জন্য ইশারা ভাষার উৎপত্তি। ইশারা ভাষা হল মানুষের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যোগাযোগের মাধ্যম। যখন কথ ভাষার প্রচলন ঘটেনি তখন ইশারার মাধ্যমেই মানুষ একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলত। ইশারা ভাষা হল এক রকমের দৃশ্য নির্ভর ভাষা। হাতের, শরীরের এবং মুখের নানা ভঙ্গিমার মাধ্যমে এই ভাষা ব্যক্ত করা হয়।
২০০৯ সালে একুশে গ্রন্থ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলা ইশারা ভাষাকে ‘অন্যতম ভাষা’ হিসেবে ঘোষণা করেন। তিনি বিটিভিসহ অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলের প্রধান সংবাদে ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ইশারা ভাষা উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। যদিও বিটিভি ও দেশ টিভি ছাড়া আর কোনো চ্যানেলে এটি বাস্তবায়িত হয়নি।
জাতীয় বধির সংস্থা দেশে সর্বপ্রথম শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জন্য ১৯৯২ সালে বাংলা ইশারা ভাষা ও বিধান প্রণয়ন ও প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম ‘ইশারা ভাষা’। একে সকল ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। কিন্তু বিশ্বের শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের ভাব বিনিময়ের অন্যতম মাধ্যম ইশারা ভাষাকে আমরা অবজ্ঞা অবহেলা করে আসছি। তাই সার্বিক বিবেচনায় সমাজের সকলকে নিজ প্রয়োজনে এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে ইশারা ভাষা শেখা খুবই প্রয়োজন। তাই এ ভাষার বিস্তার এবং প্রতিবন্ধীদের সাহায্যার্থে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশ ও জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বাংলা ইশারা ভাষা ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
এসএ/