রেকর্ড গড়া জয়ের পরের ম্যাচেই উল্টো চিত্র পাকিস্তানের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:২৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
একদিন আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রেকর্ডগড়া জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। দুইশ’ রানের লক্ষ্য ছুঁয়েছিল বিনা উইকেটেই। তবে ২৪ ঘণ্টা পার হতেই সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে দেখা গেল তাদের উল্টো চিত্র। ইংল্যান্ডের পাহাড়সম রানের চাপায় পড়ে অসহায় আত্মসমর্পণে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে করাচিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় ইংলিশরা। জবাবে ১৫৮ রানেই থেমে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ইংল্যান্ড জিতল ৬৩ রানে। সাত ম্যাচের সিরিজে সফরকারীরা এগিয়ে গেল ২-১ ব্যবধানে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর এটি। গত বছর ট্রেন্ট ব্রিজে ২৩২ রান তাড়ায় ২০১ ছিল আগের সেরা।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ইংল্যান্ডের। ৬ বলে ৮ রান করে মোহাম্মদ হাসনাইনের বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ফিল সল্ট। এই ম্যাচে অভিষেক হয় ব্যাটার উইল জ্যাকসের। তিনিও খেলেছেন দারুণ কার্যকরী এক ইনিংস। ২২ বলে ৪০ রান করে উসমান কাদিরের বলে নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
তিনে নম্বরে নামা দাভিদ মালান এ দিনও তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি। ১৫ বলে ১৪ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন উসমান কাদির। এই লেগ স্পিনার নিজের পরের ওভারে থামান জ্যাকসকে। ২২ বলে ৮ চারে ৪০ রান করেন ২৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
ইংল্যান্ডের রানকে বড় করতে সবচেয়ে বড় অবদান দুজনের, তারা থেকেছেন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত। ১৩৯ রানের জুটি গড়েছেন হ্যারি ব্রুক ও বেন ডাকেট। ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৪২ বলে ৭০ রান করেন ডাকেট। ৩৫ বলে ৮১ রান আসে ব্রুকের ব্যাট থেকে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ৫ ছক্কায়।
পাকিস্তানের পক্ষে ৪৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন উসমান কাদির।
জবাব দিতে নেমে ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় পাকিস্তান। এই চারজনের কেউ যেতে পারেননি দুই অঙ্কে।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বাবর আজমকে প্রথমেই হারায় পাকিস্তান। ৬ বলে ৮ রান করে মার্ক উডের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হন তিনি। মোহাম্মদ রিজওয়ানও ১৪ বলে ৮ রান করে বোল্ড হন টপলের বলে। পরের দুই ওভারে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন হায়দার আলি ও ইফতিখার আহমেদ।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি পাকিস্তানের ব্যাটাররা। তবে অনেকটা একা লড়াই করেন শাহ মাসুদ। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ বলে ৬৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এছাড়া ২১ বলে ২৯ রান করেন খুশদিল শাহ।
মার্ক উড ২৫ রান দিয়ে শিকার করেছেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আদিল রশিদ ২, রিচে টপলে ও স্যাম কারান একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
৮১ রানের ঝড়ো ইনিংসটির জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন ব্রুক।
একই মাঠে আগামী রোববার হবে চতুর্থ ম্যাচ।
এএইচ