ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ওয়াং-জয়শঙ্কর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৮ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে দেখা হবে কিনা অনিশ্চিত। তবে এর মাঝেই ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে মঞ্চে একই সঙ্গে দেখা মিললো ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা) গোষ্ঠীর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই চিত্র ধরা পড়েছে।  

বৈঠকের পরে যে যৌথ বিবৃতিটি দেওয়া হয়েছে, তাতে উল্লেখযোগ্য ভাবে সন্ত্রাসবাদের কড়া নিন্দা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করার মতো প্রতিটি বিষয়কেই বিস্তারিত ভাবে রাখা হয়েছে। নাম না-করে ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত পরিসমাপ্তি এবং দুই পক্ষকে কূটনীতির পথে ফেরার আবেদনও রয়েছে ওই বিবৃতিতে। বৈঠকে অন্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ-ও।

পূর্ব লাদাখে চীনা সেনা আগ্রাসন থেকে শুরু করে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাই আব্দুল রউফকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি আটকে দেওয়া। এই বিভিন্ন তিক্ততার কারণে বেজিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবনতি ঘটছে নয়াদিল্লির। চলতি নিউ ইয়র্ক সফরে চীনের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন জয়শঙ্কর। 

সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবং আজকের উত্তপ্ত ভূকৌশলগত পরিস্থিতিতে এই বৈঠককে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাস প্রশ্নে বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা কড়া ভাষায় সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করেছেন। তা সে যেই করুক না কেন বা যে কোনও কারণেই করুক না কেন। সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এবং চরমপন্থার থেকে যে বিপদ তৈরি হচ্ছে, তা উল্লেখ করে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ-সহ সমস্ত রকমের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন মন্ত্রীরা। কোনও জাতি, ধর্ম, দেশের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদকে এক করা চলে না বলেই তারা মনে করেন। জঙ্গিদের স্বর্গোদ্যান তৈরি করা অথবা সন্ত্রাসে পুঁজি জোগানো বন্ধ করার ডাক দেওয়া হয়েছে।” 

পাকিস্তানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসে মদত দেওয়া নিয়ে বেজিংয়ের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ভারত। জানা গেছে, সেই প্রসঙ্গে ভারতের পরাষ্ট্রমন্ত্রী সরব হন ব্রিকসের বৈঠকে।

পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নাম না-করে বলা হয়েছে, “মন্ত্রীরা সমস্ত রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার প্রশ্নে জোর দিয়েছেন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতবিরোধ ও সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে আলোচনার কথা বলেছেন।”
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/ এসএ/