শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় মাতৃরূপ ধারণ করছে দেবি (ভিডিও)
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ শনিবার
প্রকৃতিতে কাঁশফুল, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা জানান দিচ্ছে কয়েকদিন পরেই শারদীয় দুর্গাপূজা। শিল্পীদের নিপূণ হাতের ছোঁয়ায় মাতৃরূপ ধারণ করছে দেবি। তুলির শেষ মুহূর্তের আঁচড় আর অলঙ্কারে সাজানো হচ্ছে প্রতিমা। পাঁচদিনের উৎসব আনন্দে মাততে অপেক্ষায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মণ্ডপে মণ্ডপে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
কাশফুল, আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শিউলী ফুলের সুঘ্রাণ আর ডাকের শব্দ জানান দিচ্ছে কয়েক দিন পরেই শুরু হবে শারদীয় দুর্গা উৎসব। ২৫ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় ঢাক-ঢোল আর কাঁশরঘণ্টায় শুরু দেবিপক্ষের আনুষ্ঠানিকতা। পহেলা অক্টোবর বোধন পূজায় শুরু এই উৎসব পাঁচ অক্টোবর শেষ হবে দেবি বিসর্জনে।
বরগুনায় ১শ’ ৬১টি মণ্ডপে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদযাপনের আশা আয়োজকদের। মাটির কাজ শেষ করে চলছে রংয়ের কাজ।
বরগুনা সার্বজনীন আখরাবাড়ীর পুরোহিত সুমন চক্রবর্তী বলেন, “ভোলোই প্রস্তুতি চলছে, আশা করি ভালোভাবেই পূজা উদযাপন হবে।”
মাকে সাজিয়ে তুলছেন চাঁদপুরের প্রতিমাশিল্পীরাও। সদরসহ আট উপজেলার ২শ’ ১৯টি মণ্ডপে সিসিটিভি স্থাপনসহ নানা প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ বিভাগ।
কারিগররা জানান, এখন দিনরাত্র পরিশ্রম করা হচ্ছে। যেগুলোর অর্ডার নেওয়া হয়েছে সেই প্রতিমাগুলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেয়া যায় সেই চেষ্টা চলছে।”
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, “সুষ্ঠুভাবে এই উৎসব পালিত হবে বলে আমি বিশ্বাস রাখি।” পুলিশ সুপার
মিলন মাহমুদ বলেন, “গতবছর পূজা মণ্ডপে কোনো স্থায়ী আনসার-পুলিশ ছিল না। এবার স্থায়ীভাবে আনসারও থাকবে সেই সঙ্গে পুলিশও থাকবে।”
নাটোরে ৩৮৯টি মণ্ডপে চলছে প্যান্ডেল ও সাজসজ্জার শেষ পর্যায়ের কাজ।
কারিগররা জানান, সবকিছুর দাম বেশি, খরচ বেড়ে গেছে। তাই বায়না নিচ্ছি না।
নাটোর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি বলেন, “নিজস্ব ভলেন্টিয়ারসহ পুলিশ বিভাগ এবং প্রশাসন যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।”
ফেনীর ১৪৩টি মণ্ডপের নিরাপত্তায় অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৫৭টি, গুরুত্বপূর্ণ ৫০টি এবং সাধারণ হিসেবে ৩৬টিকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।
ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, “যে কোনো ধরনের ডিউটির জন্য পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত আছে। সেখাবে পুরো পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।”
এ বছর হাতিতে চড়ে মর্ত্যলোকে আসবেন দেবি দুর্গা, স্বর্গলোকে ফিরে যাবেন নৌকায়। ফলে পৃথিবী শস্যভাণ্ডারে পরিণত হবে, ভরে উঠবে সুখ-সমৃদ্ধিতে।
এএইচ