বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের দিনটি নিউইয়র্কে ইমিগ্রান্ট ডে (ভিডিও)
অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৫৬ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ রবিবার

নিউইয়র্ক স্টেটের কাছে ২৫ সেপ্টেম্বর এখন ইমিগ্রান্ট ডে। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের দিনটিকে প্রতিপাদ্য করে তুলতে ইতোমধ্যে আইন পাস হয়েছে সিনেটে। জাতির জনকের অনন্য ভূমিকার জন্য তাই গৌরব বোধ করেন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাঙালিরা।
১৯৭৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিলেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান। নতুন করে বিশ্ব জানলো মর্যাদাসম্পন্ন বাংলা ভাষাকে। সেই থেকে দিনটি আজও অনন্য হয়ে আছে বাংলায় কথা বলা মানুষের কাছে।
বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ গৌরবান্বিত করেছিল পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী বাঙালিদের। দিনটির মর্যাদা ধরে রাখতে তাই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাঙালিরা ২৫ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেন্ট ডে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। ২০১৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বাঙালিরা স্টেট পার্লামেন্টসহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানায়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহা বলেন, “অবিভাষী বাংলাদেশি সমাজ যারা আমেরিকার বিভিন্ন শহরে থাকে তাদের চাহিদা এখানকার সিনেট বা কংগ্রেসরা অনেক বেশি প্রাধান্য দেন। নিউইয়র্ক স্টেটের ৪ জন সিনেটর, গভর্নর ও মেয়রের প্রতিনিধি, পাবলিক অ্যাডভোকেট প্রতিনিধি এরা এই দিনটিকে উদযাপন করছেন। যে দেশটি ১৯৭১ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল, সেই দেশের সাধারণ জনগণ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল। যখন সপ্তম নৌবহর অস্ত্র নিয়ে পাকিস্তান যাবে তখন ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে আমেরিকান বন্ধুরা প্রতিবাদ করেছিলেন। সেই বন্ধুদের আমরা সম্মানিত করলাম ৫০ বছর পরে। তারা বললেন, বাংলাদেশের মানুষই একমাত্র মানুষ যে তারা ভালোবাসা দিয়ে ৫০ বছর পরেও আমাদেরকে স্মরণ করে।”
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনেটে রেজুলেশন উত্থাপিত হয়। কিন্তু তাতে বাধ সাধে রিপাবলিকান সিনেটররা। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণের দিনটিকে প্রতিপাদ্য করে তুলতে আন্দোলন জোরদার করে বাঙালিরা। শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের রাজধানী আল বেনিতে অনুষ্ঠিত সিনেট অধিবেশনে বিলটি পাস হয়। সেই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি ইমিগ্রান্ট ডে ঘোষণা করে নিউইয়র্ক স্টেট।
বিশ্বজিত সাহা আরও বলেন, “এখন সময় হয়েছে বাংলাদেশ সরকার সংসদে এটি উত্থাপন করে অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে সারা পৃথিবীতে এই দিনটিকে ছড়িয়ে দেওয়া অতীব গুরুত্বপূর্ণ।”
জাতিসংঘের সামনে শহীদ মিনার নির্মাণসহ বাংলা ভাষার মর্যাদা বাড়াতে সাংস্কৃতিক আন্দোলন চলমান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে।
এএইচ