অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৫ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার | আপডেট: ০৮:৩৬ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার
আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ দল। রোববার বাছাই পর্বের ফাইনালে বাংলাদেশ ৭ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড নারী দলকে। বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়নের তকমা নিয়ে আগামী বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে নিগার-সালমারা।
অবশ্য ফাইনালে উঠেই আগামী বছরের বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছিলো বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড।
এর আগে ২০১৪ সালে স্বাগতিক হবার সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালের বাছাই পর্বে রানার্স-আপ এবং ২০১৮ ও ২০১৯ সালে দু’বার বাছাই পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপে খেলেছিলো বাংলাদেশ নারী দল।
রোববার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা হকের ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ২৩ রান পায় বাংলাদেশ। জুটিতে মাত্র ৬ রানের অবদান রাখেন আরেক ওপেনার মুরশিদা খাতুন। মুরশিদার মতোই ৬ রান করেন তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক নিগার সুলতানাও।
এরপর রুমানা আহমেদের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলের রানের চাকা ঘুরিয়েছেন ওপেনার ফারজানা। ৪৯ রানের জুটিতে দলের স্কোর তিন অংকের কাছাকাছি নিয়ে যান দুজনে। ১৬তম ওভার শেষে দলের রান ৯৬-তে রেখে আউট হন রুমানা। ২০ বলে ২১ রান করেন তিনি। তবে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১৭তম ওভারে আউট হন ফারজানা। ৭টি চারে ৫৫ বলে ৬১ রান করেন তিনি।
ফারজানার আউটের পর দ্রুত রান তুলতে পারেননি শেষের দিকের ব্যাটাররা। ফলে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২০ রানের বেশি সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে ওই ১২১ রানের টার্গেট দিয়েই আয়ারল্যান্ডকে শুরুতেই চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। পাওয়ার প্লেতে নাহিদা আকতার ও সানজিদা আকতার মেঘলা ২৪ রানে আইরিশদের ৩ উইকেটের পতন ঘটান। পাওয়ার-প্লে শেষ হবার পরও বাংলাদেশ বোলারদের দাপট অব্যাহত থাকে।
রুমানা আহমেদ-শোয়েলি আকতারের বোলিং নৈপুণ্যে ৭৬ রানে অষ্টম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।
তবে, নবম উইকেটে ৩৪ রান তুলে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন আয়ারল্যান্ডের আর্লিন কেলি ও কারা মারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে হার থেকে রক্ষা করতে পারেননি তারা। ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৩ রান তুলে থামে আইরিশরা। মারে ১৩ রানে আউট হলেও, অপরাজিত ২৮ রান করেন কেলি।
বাংলাদেশের রুমানা ২৪ রানে ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া শোয়েলি-নাহিদা-সানজিদা ২টি করে উইকেট নেন। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়েও উইকেট শূন্য থাকেন দলের সেরা উইকেটটেকার সালমা খাতুন।
তবে টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচে মোট ১৮০ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন টাইগ্রেস দলনেতা নিগার সুলতানা জ্যোতি।
এনএস//