ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

আমিনীর মৃত্যু: ইরানে বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭৬

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:৪৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭৬ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মানবাধিকার সংগঠন ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এসব তথ্য জানায়। 

মাহসা আমিনীর মৃত্যুর পর থেকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কাঁপছে ইরান। কর্মকর্তারা বলেছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে তার আত্মীয় এবং কিছু আন্দোলনকারী এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইরানের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, দেশটির সরকার ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য সংখ্যা নিশ্চিত করা কঠিন। তবে সরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪১ এ।

মাহসা আমিনীর পরিবারের দাবি, সে পুরো সুস্থ ছিল। আটকের পর মারধরের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে। মাহসার মৃত্যু নাগরিকদের এতটাই নাড়া দিয়েছে যে, ধর্মীয়ভাবে রক্ষণশীল ইরানিরাও এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিজাব পরা নারীরাও তার পক্ষে সংহতি জানাচ্ছেন।

দেশটির একজন বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা বলেছেন, নৈতিক পুলিশ শুধু তরুণীদের ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এমনকি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও এই সমস্যাটিকে স্বীকার করে অন্তত তিনটি বিতর্ক সম্প্রচার করেছে, যা বিরল ঘটনা।

গত ১০ দিনের বিক্ষোভ অন্তত ৮১টির বেশি শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক নারী তাঁদের মাথার স্কার্ফ ছিঁড়ে ফেলছেন এবং কুম ও মাশহাদের মতো গভীরভাবে ধর্মপ্রাণ মানুষের শহরেও আগুন দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভ দমনে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মতো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত মেসেজিং অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে ইরানিদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা বহির্বিশ্বের সঙ্গে ঘটনার আপডেট শেয়ার করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর প্রথমবারের মতো এ বিক্ষোভে ধনীদের পাশাপাশি শ্রমিক শ্রেণিও যোগ দিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের এই ধরনের ঝুঁকি নেওয়ার কারণ হলো তারা মনে করে যে, তাদের হারানোর কিছু নেই। বিদ্যমান ব্যবস্থায় তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তাই বিক্ষোভ এখন ইরানের নিয়মিত বৈশিষ্ট্য।

এসবি/